নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামী ও বোন দু'জনেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের পচাগলা দেহ আগলে বসে রয়েছেন এক মহিলা। রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া হাওড়ায়। করোনা আবহে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের ওলাবিবিতলায় ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকা নিয়ে থাকতেন নিশীথরঞ্জন মণ্ডল। একসময়ে হাওড়া পুরনিগমে চাকরি করতেন তিনি, এখন অবসরপ্রাপ্ত। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে আক্রান্ত। সম্প্রতি চিকিত্‍সার জন্য় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। 


আরও পড়ুন: গঙ্গায় লাশ! টিউবওয়েলের জলে আর্সেনিক, আতঙ্কে তাই খাচ্ছেন বৈষ্ণবনগরের বহু মানুষ


প্রতিবেশীদের দাবি, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পরিবারের কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। এদিন সকাল আবার বাড়ি থেকে পচাগন্ধ বেরোচ্ছিল। এরপর কৌতুলহলবশত খোঁজখবর নিতে শুরু করেন সকলেই। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় চ্যার্টার্জিহাট থানায়। পুলিস যখন বাড়ির ভিতরে ঢোকে, তখন দেখা যায়, তিনতলার একটি স্বামী নিশীথরঞ্জন মণ্ডল ও বোন অনিতা ঘোষের দেহ আগলে বসে রয়েছেন পাপড়ি মণ্ডল! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্তে শুরু করেছে পুলিস। তবে, নিশীথরঞ্জন মণ্ডল ও তাঁর শ্যালিকার মৃত্যুর জন্য মানসিক অবসাদকেই দায়ি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।