বিধান সরকার: হুগলিতে এবার তারকা যুদ্ধ, বলা ভালো চলচ্চিত্র জগতের দুই সতীর্থের লড়াই। লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee) রাজনীতিতে পুরনো, গত ৫ বছরের সাংসদ তিনি। তুলনায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়(Rachna Banerjee) রাজনীতিতে একেবারেই নতুন। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তাদের দুজনের লড়াই খুবই আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই দুই তারকা প্রার্থী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কর্মসূচি থাকছে তাদের, জনসংযোগ কর্মীসভা চলছে। মঙ্গলবার চন্দননগরের প্রচারের ফাঁকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেটের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, গত পাঁচ বছরে কি কি কাজ করেছেন তার হিসাব দিন হুগলির মানুষ জানতে চায়?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Dadagiri Stamp: ডাকটিকিটে সৌরভের 'দাদাগিরি', এই প্রথম কোনও রিয়ালিটি শো-কে স্বীকৃতি ডাক বিভাগের...


লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন পোলবার রাজহাট অঞ্চলে এবং বলাগরে জনসংযোগ করছিলেন । তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কি কাজ করেছেন তার খতিয়ান তুলে ধরেন লকেট। একটি প্রার্থী পরিচিতির হ্যান্ড বিল দেখিয়ে তিনি জানান, গত ৫ বছরের ১৭ কোটি টাকা তার সাংসদ তহবিলের খরচ হয়েছে । করোনার জন্য দু বছরে সাংসদ তহবিলের টাকা বরাদ্দ হয়নি । তাই তার যে প্রাপ্য টাকা সেই টাকাতে জল ,স্বাস্থ্য, পথবাতি , স্কুলের উন্নয়ন, অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন কাজে খরচ করেছেন। এছাড়াও সাংসদ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। জানা গেছে প্রায় দুই লক্ষ হ্যান্ড বিল ছাপানো হয়েছে যাতে গত পাঁচ বছরে সাংসদ  লকেটের কাজের খতিয়ান মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, সাংসদ লকেটকে হুগলিতে দেখা যেত না, সাংসদ তহবিলের টাকায় যে কাজ করেছে সেটাও অদৃশ্য। যদিও ছাপানো খতিয়ান তুলে ধরে বিজেপি প্রার্থীর দাবি তিনি সাংসদ কোটার ১০০ শতাংশই খরচ করেছেন। 


আরও পড়ুন- Rachana Banerjee: 'নাম করে নিয়েছি, খ্যাতি আছে, শেষ ১৫-২০ বছর মানুষের জন্য কিছু করতে চাই'


এদিন দুই প্রার্থীকে ভিন্নরূপে দেখা যায়। বিজেপি প্রার্থী লকেটকে পোলবায় রান্না করতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা কে দলীয় কর্মীদের খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় চন্দননগরে। লকেট বলেন, এই প্রথম উনি রাজনীতিতে এসেছেন, উনি হয়তো জানেন না প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে পাওয়া যায় এখনো পর্যন্ত ১৭ কোটি টাকা পেয়েছি । আগের কিছু টাকা ছিল সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। সেটার হিসেব আমার কাছে রয়েছে। বিদ্যালয় জলের পাম্প , দেওয়াল, ক্লাসরুম, সাইকেল সেট, কম্পিউটার রুম, অডিটোরিয়াম নির্মাণ, অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। রাস্তা, ড্রেন, শ্মশানঘাট, জলছত্র তৈরি করা হয়েছে। ১৭৩ টা শোলার লাইট দেওয়া হয়েছে। যেখানে আলো নেই, তাহলে ভেবে দেখুন সেখানে শিল্প কিভাবে আসবে। আমরা বিদ্যালয়ের উপর বেশি নজর দিয়েছি। এবং আলোর দিকে বেশি নজর দিয়েছি।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)