নিজস্ব প্রতিবেদন: চন্দ্রযান ২ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে পালটা বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রবিবার ভারতীয় মজদুর ট্রেড ইউনিয়ের এক সভায় রাহুলবাবু চন্দ্রযান ২ এর অবতরণ নিয়ে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ শানান। বলেন, চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণের আগে ভাবছিলাম, ইসরোর বিজ্ঞানীদের বলব, চন্দ্রযানের পিছনে এটাকে বেঁধে নিয়ে যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন তৃণমূলকে রাষ্ট্রের কলঙ্ক বলে উল্লেখ করেন রাহুলবাবু। বলেন, 'চাঁদের কাছাকাছি গিয়ে চন্দ্রযান ২-এর সংযোগ হারিয়ে গিয়েছে। সারা দেশের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ছে। সারা দেশের মানুষ ওপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করছে সংযোগ যাতে স্থাপন হয়। সারা দেশে তৃণমূল একমাত্র প্রার্থনা করছে, হে আল্লাহ, সংযোগ যাতে স্থাপন না হয়। এদের পাকিস্তানে গিয়ে বাস করা উচিত। রাষ্ট্রীয় কলঙ্ক এরা।' 


এক পর সুর আরও চড়িয়ে রাহুল সিনহা বলেন, 'যদি চন্দ্রযান যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে তাহলে লিখে রাখুন, মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন করবে চন্দ্রযান যে চাঁদে গিয়েছে তার প্রমাণ কোথায়? বলবে, ওগুলো যে চাঁদের ছবি তার প্রমাণ কী? রাশিয়া - আমেরিকা থেকে চুরি করা আগের ছবি কি না তার প্রমাণ কী?' 


এর পরই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'তাই আমি ভাবছিলাম চন্দ্রযান যাওয়ার আগে ইসরোর বিজ্ঞানীদের বলব, চন্দ্রযানের পিছনে এটাকে বেঁধে নিয়ে যান। যাতে প্রমাণ পেয়ে যাবে, দেখে আসবে কী হচ্ছে। রাষ্ট্রের গৌরবে কেউ যদি গর্বিত না হয় তাহলে সে রাষ্ট্রের কলঙ্ক। চন্দ্রযানকে নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলা হচ্ছে। যতই রাজনীতি করুক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিদায় আসন্ন।' 


বিজেপির হিন্দুত্ব নকল করতে গেলে শেষ হয়ে যাবে কংগ্রেস: শশী তারুর


বলে রাখি গত শুক্রবার চন্দ্রযান ২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে আবতরণের নির্ধারিত সময়ের আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় মন্তব্য করেন, 'এমন করছে যেন এই প্রথম চন্দ্রযান গিয়েছে।' তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা হয় দেশজুড়ে।