জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক সময় রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর এঁদের যাতায়াত ছিল এই রাজবাড়িতে। পরবর্তীতে উত্তমকুমারের সিনেমাতেও উঠে এসেছে এই জমিদার বাড়ির কথা। সেই জাড়ার জমিদার বাড়ির পুজোর ২২৩ বছর পূর্ণ হতে চলেছে এই বছর। এই নিয়ে রীতিমত হইচই চলছে গোটা বাড়ি জুড়ে। এত বছরের ঐতিহ্যকে বুকে আগলে রেখে এই পরিবার দেবীর আরাধনা করে গেছেন বছরের পর বছর। অতিমারির কারণে আগের বছর সেভাবে ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করতে পারেন নি তারা। তবে এই বছর পুজোর রীতিনীতিতে তাই কোনোরকম আপস করতে নারাজ প্রত্যেকেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: কেন্দুয়ায় মণ্ডপে মিনি হাসপাতাল, স্য়ানিটারি প্য়াড ভেন্ডিং মেশিন!


জানা যায়, পশ্চিম মেদিনপুরের ঘাটালে চন্দ্রকোনা ব্লক নম্বর ১-এর এই জারা গ্রামের জমিদার বর্ধিষ্ণু পরিবার। ১৭৪৮ খ্রীস্টাব্দে জাড়া জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাম গোপাল রায়। পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে রাজা রাজীবলোচন রায় দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। এবং তারপর থেকেই প্রতি বছর সাড়ম্বরে মাতৃ আরাধনা চলতে থাকে এই জমিদার বাড়িতে। সমস্ত আচার বিধি মেনে একেবারে বৈষ্ণব মতে পুজো করেন পারিবারিক পুরোহিত। এই চারদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ করে পুজোর কাজ সামলান পরিবারের সকলে। পুজোর একদিন হয় নরনারায়ণ সেবা, আরেকদিন গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগ খাওয়ানো হয়ে থাকে। পুজোর এই দিনগুলোয় ভোগ, উপাসনা সব ক্ষেত্রেই নানান নিত্য নতুন নিয়মের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়ে এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2022 : বয়স ১০, ৫০০০ টাকায় দুর্গা গড়ে তাক লাগাল রিয়ান!


              
আগে পুজোর কটা দিন জমিদার বাড়িতেই কবিগানের আসর বসত। পুজো উপলক্ষ্যে বিভিন্ন যাত্রাপালারও আয়োজন করা হত গ্রামবাসীদের জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে সবই এখন অতীত। এই বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও এক বিশেষ রীতি রয়েছে। বাড়ির ছোট-বড়ো সকলে মিলে বিষাদের গান গাইতে গাইতে শোভাযাত্রা করে বিদায় জানান মাকে। এই পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই মূলত বিদেশে থাকেন।  পুজো উপলক্ষে তারা সকলে ফিরে আসেন গ্রামের বাড়িতে। দুর্গোৎসব ঘিরে কার্যত পুনর্মিলনের আবহ তৈরি হয় এই রায় বাড়িতে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)