নিজস্ব প্রতিবেদন:   রবিবার দুপুরের পর থেকেই মেঘলা আকাশ।  রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার সকালেও বদলায়নি পরিস্থিতি। আগামী দুদিনই একই রকম থাকবে আবহাওয়া। জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে মঙ্গল ও বুধবারও হালকা বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়।  দুদিন পর থেকে পরিষ্কার হবে আকাশ। তারপরই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা। সোমবার রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ময়না, খুন বিজেপি কর্মী, বোমাবাজিতে জখম ৩


বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘পেটি’। আর রাজ্যের বৃষ্টি তারই প্রভাব। মৌসম ভবন বলছে, ঘূর্ণিঝড় রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর। তার অভিমুখ অন্ধ্র উপকূলের দিকে। সোমবার দুপুরে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। ‘পেটি’ এর প্রভাবে কলকাতা, পাশ্ববর্তী এলাকা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার আকাশ আরও বেশি মেঘলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মেঘ সরে আকাশ পরিষ্কার হলেই শীত পড়বে। বুধবার রাত থেকেই রাজ্যের তাপমাত্রা নামবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।  সেক্ষেত্রে রাজ্যের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  তবে অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। প্রচুর টাকার সবজি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সোমবার দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও হুগলিতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।


আরও পড়ুন-টানা পাঁচদিনের দর কষাকষি শেষ, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেশ বাঘেল


এদিকে, ‘পেটি’র প্রভাবে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইতিমধ্যে অন্ধ্রের ৯ জেলায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে অন্ধ্র উপকূলে প্রচার চালাচ্ছে নৌসেনা। কয়েক সপ্তাহ আগেই অন্ধ্র-তামিলনাড়ুতে তাণ্ডব করে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় গাজা। উল্লেখ্য,  এবার ঘূর্ণিঝড় ‘পেটি’র নামকরণ করেছেন তাইল্যান্ড।