নিজস্ব প্রতিবেদন : রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Arson) তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রামপুরহাটে উপপ্রধান খুন ও খুনের 'বদলা'য় বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ আর তাতে ৮ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই রাজ্যে আসবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তবে যে ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, মহম্মদ সেলিম যাকে 'গণহত্যা' বলে তোপ দেগেছেন, সেই ঘটনা মোকাবিলায় পুলিসের (Rampurhat Police) ভূমিকা কী ছিল? উঠছে সেই প্রশ্ন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অন্দরেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার রাত ৮টায় বগটুই মোড়ে ভাদু শেখের খুনের (Rampurhat TMC Leader Murder) ঘটনাটি ঘটে। ভাদু শেখের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রামে পুলিস যায়নি। কেন ভাদু শেখের গ্রামে পুলিস যায়নি? এখন খুনের ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর গ্রামে আগুন লাগানোর (Rampurhat Arson) ঘটনাটি ঘটে। তাহলে এই দেড় ঘণ্টা সময়ে পুলিস কী করল? ভাদু শেখের খুনের প্রতিক্রিয়ায় তাঁর অনুগামীরা যে উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারেন, তা কেন আঁচ করতে পারেনি পুলিস? কেন কোনও স্ট্র্যাটেজি নেয়নি পুলিস? কেন ওই সময়ের মধ্যে গ্রামের দখল নেয়নি? বগটুই গ্রামের ঘটনায় পুলিসের (Rampurhat Police) ভূমিকা নিয়ে ইত্যাদি একাধিক প্রশ্ন উঠছে। 


স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, পুলিস জানিয়েছে যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় গ্রামে ঢোকা যায়নি। কিন্তু পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের অন্দরেই। জাতীয় সড়কের লাগোয়া বগটুই মোড়। সেই বগটুই মোড়ের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ভাদু শেখ। সেখানেই দুষ্কৃতী হামলায় ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু (Rampurhat TMC Leader Murder) হয়। তারপরই পুলিস ঘটনাস্থলে এসে এলাকা ঘিরে ফেলে। কিন্তু মাত্র ৪ কিলোমিটার ভিতরে বগটুই গ্রাম, যেখানে ভাদু শেখের বাড়ি, সেখানে যায়নি পুলিস। প্রসঙ্গত, অগ্নিসংযোগের ঘটনার (Rampurhat Arson) সময় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে তারা জানিয়েছিলেন যে, ভাদু শেখের খুনের পর এলাকায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে ভিড়কে তারা হঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রাম নিয়ে পুলিস কোনও স্ট্র্যাটেজি-ই নেয়নি বলে অভিযোগ। 


প্রসঙ্গত, ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় যাদের নামে অভিযোগ তাদের বাড়িও এই বগটুই গ্রামে। পাশাপাশি এক বছর আগেই দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গ্রামে খুন হন ভাদু শেখের দাদা। তখনও পশ্চিমপাড়ার কয়েকজনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এই তথ্যগুলো কি পুলিস জানত না? বা জানা থাকলে তারপরেও বগটুই গ্রামে কেন কোনও দল পাঠায়নি পুলিস? গোটা ঘটনায় রামপুরহাট থানা (Rampurhat Police) কর্তৃপক্ষের 'গাফিলতি'র দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। এই ঘটনায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। পাশাপাশি, তদন্তে গঠিত হয়েছে SIT। ক্লোজ করা হয়েছে ওসি ও SDPO-কে।


আরও পড়ুন, রামপুরহাটে বড়সড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: পার্থ, 'উল্টো সুর' অনুব্রতর


রামপুরহাট নিয়ে লেটেস্ট সব আপডেট জানতে দেখে নিন, Rampurhat LIVE