নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত যুবককে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমানের দ্বিতীয় ফার্স্ট ট্র‌্যাক কোর্ট। শেখ সাবিরউদ্দিন ওরফে ছিপল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাতা গ্রামের মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারপতি অর্জুন মুখোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটে। এ দিন মাহাতা গ্রামে মামারবাড়িতে ঘরের মেঝেতে শুয়েছিলেন তরুণী। খাটে শুয়েছিলেন তরুণীর মাসহ দু’জন। ঘরের দরজা ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। গভীর রাতে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে যুবতীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী যুবক সাবিরউদ্দিন। এরপর যুবতীর আর্তনাদে ঘরের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। যুবতীর মা চিৎকার শুরু করলে সাবিরউদ্দিন পালিয়ে যায়। ঘটনায় যুবতীর পরিবার পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন।


৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে মাহাতা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে পুলিস সাবিরউদ্দিনকে আটক করে। তাকে দু'দিন হেফাজতে নেয় পুলিস। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। যুবতীরও মেডিক্যাল পরীক্ষা করায় পুলিস। নথিভূক্ত করা হয় তাঁর গোপন জবানবন্দিও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার। মামলায় ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, যুবতী ও ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে, এছাড়াও রয়েছে একাধিক প্রমাণ। তার ভিত্তিতেই বুধবার আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার ঘোষণা হয় সাজা।