নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, জারি রেড অ্যালার্ট
তিস্তা ব্যারেজ থেকে আজ সকালে ৩৫৮৬.৯০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃষ্টির বিরাম নেই। ফুঁসছে তিস্তা। জারি হল লাল সতর্কতা। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হল। সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ অ্যালার্ট। একইসঙ্গে, জলঢাকা অসংরক্ষিত এলাকাতেও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজ থেকে আজ সকালে ৩৫৮৬.৯০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। এরফলে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা।
গতকাল লিস নদীর জলে ভেঙে যায় সাওগাঁও এলাকায় নদীবাঁধ। বৃষ্টি না কমায় আজ অবস্থা আরও খারাপ। লিস নদীর জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বহু কৃষি জমি। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ধানের বীজতলা, রাস্তার হিমপাইপ, গ্রামে যাওয়ার রাস্তা। বৃহস্পতিবার বিকালে বৃষ্টি একটু কমলেও, রাত থেকে শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি।
বৃষ্টিতে মেরামত করা যায়নি নদীবাঁধ। আজ জলের গতি আরও বেড়েছে। নদী জলে ভেসে গিয়েছে পানীয় জলের কুয়ো। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। এখনও বৃষ্টি হয়ে চলছে। রাত থেকে ফের বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার বেশকিছু এলাকাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে-
১) জলপাইগুড়ি - ১৪০ মিলিমিটার
২) আলিপুরদুয়ার - ১৭.৪০ মিলিমিটার
৩) কোচবিহার - ৮.৭০ মিলিমিটার
৪) শিলিগুড়ি - ১৪৭.৪০ মিলিমিটার
৫) মালবাজার - ১১০.৬০ মিলিমিটার
৬) হাসিমারা - ১২৮.৪০ মিলিমিটার
৭) বানারহাট - ১১৬.০০ মিলিমিটার
৮) তুফানগঞ্জ - ১৫.৪০ মিলিমিটার
৯) ময়নাগুড়ি - ১১২.০০ মিলিমিটার