প্রদ্যুৎ দাস: দোমহনী থেকে বাংলাদেশ বর্ডার-- তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় দারি লাল সতর্কতা। লাল সতর্কতা মেখলিগঞ্জেও। এমনিতেই বৃষ্টির বাড়াবাড়ি চলছে উত্তরবঙ্গে। এর মধ্যে আজ, শনিবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি চলছে জলপাইগুড়ি জুড়ে। এই অবস্থার মধ্যে আবার তিস্তায় নতুন করে জলও ছাড়া হল। ৩২০০.২৪ কিউসেক! কম নয়! সব মিলিয়ে বৃষ্টি-পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি ও সন্নিহিত অঞ্চলে বেশ ভয়াল। জারি হয়েছে লাল সতর্কতাও। তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় ফুলে উঠল জলপাইগুড়ি শহর চিরে চলে যাওয়া করলা নদীও। তা প্লাবিত করল তার দুই পাড়। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় রাতেই ঘড় ছেড়ে ফ্লাডশেল্টারে আশ্রয় নিতে হল নদীপাড়ের পুরবাসীদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Weather Today: দক্ষিণবঙ্গে আজও রেইনি ডে, বৃষ্টিতে তাপমাত্রায় বড় পতন!


গত দুদিন ধরে সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বর্ষণে জল বেড়েছে তিস্তা নদীতে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। একই সঙ্গে তিস্তা নদীর সমস্ত লকগেট খুলে দিয়ে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে জল ছাড়া হয়েছিল ৬০০০ কিউসেকের বেশি। রাতে ছাড়া হয়েছে ৪০০০ কিউসেকের বেশি।


আর লাগাতার এই জল ছাড়ার প্রভাব পড়েছে জলপাইগুড়ি শহর চিরে চলে যাওয়া  করলা নদীতেও। জল বেড়ে যাওয়ায় জলমগ্ন হয়েছে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশ। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরেশ মিত্র কলোনি এবং নীচমাঠ এলাকায়। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। 


শুক্রবার  দুপুরের পর থেকেই করলা নদীর জল ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি শহরের নেতাজিপাড়া ও পরেশ মিত্র কলোনি এলাকায়। করলা নদীর পাশে বাঁধ না থাকায় এই দুর্ভোগ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তত দেড় শতাধিক বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই এলাকাবাসীরা বাড়িঘর ছেড়ে ফ্লাড শেল্টারে চলে এসেছেন। অন্যান্য জলমগ্ন এলাকার অনেক মানুষজনই উচুঁ রাস্তার ধারে আশ্রয় নিয়েছে‌ন। 


স্থানীয় বাসিন্দা সোনাপতি শা বলেন, ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তায় রয়েছি। স্থায়ী নদীবাঁধের প্রয়োজন। বর্ষার সময় প্রতি বছরে দুর্ভোগ বাড়ে। দীপালী দাস নামে আর এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমরা বারবার এখানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। সবাই আশ্বাস দেয়, কিন্তু আজও বাঁধ হয়নি। আজও একই অবস্থা। রাতে ঘরে জল ঢুকে গেল। বাধ্য হয়ে ফ্লাড শেল্টারে এলাম। আমাদের কাউন্সিলর রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। বাড়িতে রান্না করতে পারিনি। তাই এখানে খাবার নিতে লাইনে দাঁড়ালাম। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালি দাস বলেন, আমরা ফ্লাড শেল্টার খুলে দিয়েছি। শেল্টারে মানুষ এসে উঠেছেন। আমরা তাঁদের পানীয় জল ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। 


আরও পড়ুন: Insha Eraz: শেখপাড়ায় চাঁদের আলো! চন্দ্রযান-৩ মিশনে যুক্ত ছিলেন হাওড়ার ছেলে ইনসা ইরাজও...


জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, বলেন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা থেকে জল ছাড়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের জানানোর পরেই ওয়ার্ডগুলিতে আমাদের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম নেমে যায়। ওই এলাকার মানুষের দাবি রয়েছে বাঁধ নির্মাণের। সম্প্রতি সেচমন্ত্রী এসেছিলেন। আমরা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আশা করছি পুজোর পর কাজ শুরু হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)