ওয়েব ডেস্ক: জনবসতির চাপে গতি হারিয়েছিল নদী। পলিমাটি, জঞ্জালের স্তুপে মুখ ঢেকেছিল বাঁকানদী। বর্ধমানের লাইফলাইন সেই নদী এবার অন্য রূপে। স্থানীয় বিধায়কের উদ্যোগে শুরু হয়েছে নদী সংস্কারের কাজ। নদীর সঙ্গে নতুন রূপে সেজে উঠছে শহরও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিহাসের শহর বর্ধমান। কয়েকশো বছর আগের ছোট্ট জনপদ এখন জমজমাট শহর। এক সময় শহরের বুক চিরে অবাধে বইত বাঁকানদী। কিন্তু মানুষ বেড়েছে। বসতির চাপ বেড়েছে। নদী আর আপন বেগে বইতে পারে না। 



বর্ধমানের রামগোপালপুরের কাছে বাঁকার উত্‍সস্থল। নদী জলের উত্‍স দামোদর। প্রায় ৫০টি জনপদের পাশ দিয়ে ১২৫ কিমি পথ পার হয়ে সমুদ্রগড়ের খড়ি নদীতে মিশেছে বাঁকা।



একসময় বাঁকানদীর জল দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ভোগ রান্না হত। কিন্তু সে আজ ইতিহাস। নদীতে এখন পলির স্তর। যেখানে-সেখানে আবর্জনার স্তুপ। গতি হারিয়ে প্রাণচঞ্চল বাঁকানদী এখন সরু নালা।  রুদ্ধ বাঁকানদীর গতি ফেরাতে উদ্যোগী স্থানীয় বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বিপুল উদ্যমে শুরু হয়েছে কাজ। জঞ্জাল-আবর্জনা সাফাই করে শুরু হয়েছে পলি তোলার কাজ। মাটি কেটে বোল্ডার-সিমেন্ট দিয়ে নদীর দুই পার বাঁধানো হচ্ছে। 



সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই শুরু। বর্ধমানের কাঞ্চননগর থেকে কার্জনগেট। নতুন রূপে সেজে উঠছে বাঁকানদী। শহর বর্ধমানেই বাঁকার ওপর দিয়ে প্রায় ১৪টি সেতু গেছে। সেই সেতুগুলিরও জরাজীর্ণ দশা। নদীর পাশাপাশি জোরকদমে চলছে সেতু সংস্কারের কাজ। 



বীরহাটায় বাঁকা পারে দাঁড়িয়ে চোখ ফেরানো দায়। নদীর ধারে উত্‍সব ময়দান, উদ্যান। বসেছে আকাশচুম্বী ঘড়ি। আর সূর্য ডুবলেই মায়াবী আলোয় ভাসছে বীরহাটার সুকুমার সেন সেতু। রাতারাতি এই রূপ বদলে খুশি রাজার শহরের বাসিন্দারা।