নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবেই'। রবিবার ফের একবার সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ভাঙড়ের মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীদের রফাসূত্র বের করতে ১ মাসের সময়সীমা দিলেন এলাকার বিধায়ক রেজ্জাক। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী বলেন, ''আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজতে রাজি সরকার। তবে তা পাওয়ার গ্রিড করার শর্ত মেনে নিলে তবেই।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনের সভা থেকে ফের একবার আন্দোনকারীদের কড়া সমালোচনা করেন একদা সিপিএম নেতা রেজ্জাক। তাঁর কথায়, ভাঙড়ে ছ'লক্ষ মানুষের বাস। আন্দোলনের নামে তাঁদের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষ, যা মেনে নেওয়া যায় না।


আরও পড়ুন- ভাঙড়ে অশান্তির মূলে মুখ্যমন্ত্রী, সরাসরি আক্রমণ সুজনের


পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। মঙ্গলবার সকালে পাওয়ার গ্রিড বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের মিদ্দেপাড়ায় মিছিলে নামে জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। কমিটির সদস্য-সমর্থকরা জমায়েত শুরু করতেই সেখানে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। শুরু হয় বোমাবাজি। ভাঙচুর হয় বেশ কয়েকটি বাড়িতেও। এই ঘটনায় আহত হন কয়েকজন।


এরই বৃহস্পতিবার সেখানে সমাবেশের ডাক দেয় কমিটি। সেই সমাবেশ থেকে ভাঙড়ে অশান্তির ছড়ানোর জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ভাঙড়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়ের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন বলেও তোপ দাগেন সুজন চক্রবর্তী।


আরও পড়ুন- পাওয়ারগ্রিড বিরোধীদের মিছিলে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ, ফের উত্তপ্ত ভাঙড়


প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগে ভাঙড়ে অশান্তি শুরু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভাঙড়ের মানুষ না-চাইলে পাওয়া গ্রিড হবে না। পাওয়ার গ্রিড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এদিন সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিরোধিতায় নেমেছে জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি।


এদিকে, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবেই বলে বারবার দাবি করেন আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদের মতো তৃণমূল নেতারা। এবার তাদের সেই দাবিকে সমর্থন  করে আন্দোলনকারীদের ১ মাসের সময় দিলেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও।