Renu Khatun: কৃত্রিম হাত পাবেন, তবে অভিযুক্তদের জামিনে ফের হামলার আশঙ্কা রেণুর
রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়া অভিযুক্ত ৩ জনের জামিন হয়ে যাওয়ায় রেণুর জানান, ``আমি আতঙ্কিত। পুলিসের তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে তার জন্যই হয়তো জামিন পেয়ে গেছে। জামিন হওয়ায় আমি খুব বিস্মৃত। আশঙ্কা করছি আমার উপর ফের হামলা হতে পারে।``
অরূপ লাহা ও সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: একদিকে যখন স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য রেণু খাতুনের জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ। তখন তার উল্টোদিকে রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়া অভিযুক্ত ৩ জনের জামিন হয়ে যাওয়ায় রেণুর জানান, ''আমি আতঙ্কিত। পুলিসের তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে তার জন্যই হয়তো জামিন পেয়ে গেছে। জামিন হওয়ায় আমি খুব বিস্মৃত। আশঙ্কা করছি আমার উপর ফের হামলা হতে পারে।'' অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কৃত্রিম হাত লাগানো হবে বলে, জানিয়েছেন সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। কেতুগ্রামের গৃহবধু রেণু খাতুনের ডান হাত কব্জি থেকে বাদ দেওয়ার পর তাঁর জন্য কৃত্রিম হাতের উদ্যোগ নেয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি। সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথে উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারপরেই এরজন্য সমস্ত ব্যয় পূর্ববর্ধমান জেলাপরিষদ বহন করবে বলে জানিয়ে দেন সভাধিপতি।
আরও পড়ুন, Tapan Dutta Murder Case: বালিতে তপন দত্তের বাড়িতে সিবিআই; 'ভরসা পেলাম', বললেন স্ত্রী
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের গৃহবধু রেণু খাতুনকে নার্সিংয়ে চাকরী করতে না দিতে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে দেন স্বামী সেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ সেখ বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে নার্সিংয়ে চাকরী দেওয়া হয়। বর্তমানে রেণু খাতুন নার্সিং কলেজে কর্মরত। রোগী কল্যাণ সমিতি ও পূর্ববর্ধমান জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে খুশি রেণু খাতুন। এর জন্য সকলকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরফলে আগামীদিনে আমার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।
অন্যদিকে, শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন,রেণুর লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেকেই তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই রেণুকে সরকারী চাকরীও দেওয়া হয়েছে যেহেতু তার ডান হাত নিয়েই সমস্যা তাই তাকে নানাবিধ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিলো সেই জায়গা থেকেই তাদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ যাতে রেণু আগামীদিনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।
প্রসঙ্গত, কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কাটা কাণ্ডে ধৃত ভাড়াটে দুষ্কৃতী-সহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করল কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুকুমার সুত্রধর। রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় ভাড়াটে দুষ্কৃতী আসরাফ আলি সেখ ও হাবিবুর রহমান এবং প্রধান অভিযুক্ত শের মহম্মদের তুতো ভাই চাঁদ মহম্মদের ৮৪ দিন পর জামিন মঞ্জুর হল। জামিনপ্রাপ্ত তিনজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম। প্রধান অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ জামিন পায়নি। সরকারি চাকরি পাওয়া স্ত্রী রেণু খাতুনকে চাকরিতে যোগ দিতে না দেওয়ার পরিকল্পনায় ৪ জুন গভীর রাতে কোজলসা গ্রামে নিজের বাড়িতে স্বামী শের মহম্মদ তুতো ভাইয়ের সাহায্যে ভাড়াটে দুই দুষ্কৃতী সাহায্যে রেণুর হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন, অনুব্রতর দায়িত্বে থাকা পূর্ব বর্ধমানের ৩ বিধানসভার দায়িত্ব কে পেলেন?