নিজস্ব প্রতিবেদন: অণ্ডালে খনি ধস। এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তিনি ইসিএল কর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় দু-জনকে উদ্ধার করা গেছে। অণ্ডালের পরাশকোল কোলিয়ারিতে কয়াল উত্তোলনের পর ফাঁকা জায়গায় বালি প্যাক করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, গোপাল গোপ ( ৪২) নামে ওই কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এখনও পর্যন্ত খনির নিচেই দেহ আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দুর্গার বিসর্জনে দুর্ঘটনা, মাঝ নদীতে নৌকা উল্টে মৃত ৫


ঘটনায় কোলিয়ারির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকরা। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা বলে জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলো। কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আমরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করি। এই ধরনের দুর্ঘটনা মাঝে মাঝে হয়। চেষ্টা হবে এই ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে। শ্রমিকদের দাবি, কাজ বন্ধ রেখে পরীক্ষা করতে হবে খনিগর্ভ, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। দু-দিন বন্ধ ছিল খনি। আজ উৎপাদন শুরু করার আগে সুরক্ষা খতিয়ে দেখে কাজ চালু করা উচিৎ ছিল বলেছিল শ্রমিকরা। কিন্তু তা না করেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 


বারবার খনি ধস। আতঙ্কে দিন কাটে দক্ষিণবঙ্গের কয়লা অঞ্চলের। বেআইনি কয়লা উত্তোলনে বারবার ডেকে এনেছে মৃত্যু। অভিযোগ ওঠে অবৈধ খনিতে চাপা পড়ে মৃত্যু হলে সেই ঘটনা আর প্রকাশ্যে আসে না। অভিযোগ মৃতদেহ পর্যন্ত লোপাট করে দেয় কয়লার অবৈধ কারবারীরা। শুধু অবৈধ কয়লা খনিতেও নয় সরকারি খনিতেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার তেমনই দুর্ঘটনা হয়েছে অণ্ডালের পরাশকোল কোলিয়ারিতে।


মাসখানেক আগেই অণ্ডালে  খনি ধসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি আবাসন। পাণ্ডবেশ্বরে খোট্টাডিহিতে  ২০১৮-র খনি ধসে দুজনের মৃত্যু হয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় খনি ধসে  দুহাজার ঊনিশে মারা গেছেন তিনজন।  দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে। কিন্তু কেন ধস নামে। কয়লা খনিতে মাঝে মাঝে পিলার রাখা হয়। কিন্তু উত্‍পাদন বাড়ানোর নামে সেই পিলারও নিয়ম না মেনে কাটা হয়। কখনও আবার চোর পিলার কেটে নিয়ে যায়। ফলে ধস নামে। মৃত্যু হয়।


কয়লা খনি জাতীয়করণের আগে বেসরকারি মালিকরা কয়লা তুলে বালি ভরাটের কথা থাকলেও বালি ভরাট করেনি। আবার কখনও সরকারি সংস্থাগুলি বালি ভরাটের নামে বিল করলেও বালি ঠিক মতো ভরে না বলে অভিযোগ। ফলে বহু জায়গায় ধস নামে। কয়লা মাফিয়ারা র‍্যাট হোল সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকে কয়লা কাটে, ফলে ধস নামে। ধসের কারণ সবাই জানে। কিন্তু ধস আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। শুধু বছর বছর মৃত্যুর খবর আসে।