নিজস্ব প্রতিবেদন: চা-বাগান থেকে উদ্ধার করা হল একটি অসুস্থ ময়ূর। চা-বাগানে স্প্রে করা কীটনাশকই পাখিটির এই অসুস্থতার জন্য দায়ী, অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার (malbazar) ব্লকের বাগরাকোট (bagrakot) পঞ্চায়েতের লিস রিভার চা-বাগানের (tea-garden) মিশন লাইন শ্রমিক বস্তি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই চা-বাগানে অসুস্থ ময়ূরটিকে দেখতে পান চা-বাগানের বাসিন্দা উত্তম লোহার। তিনি বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী নফসর আলিকে খবর দেন। নফসর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়ূরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের হাতে তুলে দেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এসময়ে চা গাছে লাল রঙের এক প্রকার পোকার উপদ্রব হয়। চা-বাগানগুলি পোকা মারার জন্য কীটনাশক স্প্রে করে। চা-বাগানের আশেপাশে আবাদি জমিতে শস্যদানা খেতে ময়ূর-সহ অন্যান্য পাখি আসে। শস্যের পাশাপাশি ময়ূরের দল কীটনাশকে মরা পোকামাকড়ও খায়। খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।


নফসর বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, চা-বাগানে স্প্রে করা চলছে। শ্রমিকরা আমাকে জানান, কয়েকটি ময়ূর মারা গিয়েছে। সেই ময়ূরগুলিকে শ্রমিকরা গর্তে পুঁতে দিয়েছেন। আমি অসুস্থ ময়ূরটি উদ্ধার করে বনকর্মীদের হাতে তুলে দিই। নফসর আরও জানান, আমাদের এই এলাকায় চা-বাগানে ময়ূর-সহ বহু পাখি পোকামাকড় খেতে আসে। কীটনাশকে মারা যাওয়া পোকামাকড় খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। এই কারণে চা-বাগান এলাকায় পাখি, কীটপতঙ্গের সংখ্যাও কমে এসেছে। চা-বাগানগুলির এবিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।


মাল বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের বনকর্মীরা জানান, অসুস্থ ময়ূরটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী কারণে অসুস্থ হয়েছে, চিকিৎসার পর জানা যাবে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মালবাজার বন দপ্তর। 


Also Read: একালের কোনও নেতার দেহরক্ষীর হাতে বন্দুক নয়, তির-ধনুক