ওয়েব ডেস্ক : টিকিট দালাল চক্রের রমরমা। রিজার্ভেশন টিকিট কেটে চিকিত্‍সা করাতে বেঙ্গালুরু গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে শ্রীরামপুরের এক পরিবার। অবৈধ হয়ে গেল বৈধ টিকিটই! ফেরার পথে চূড়ান্ত হয়রানির অভিযোগ। মাঝরাতে নামিয়ে দেওয়া হল ট্রেন থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য গত ৪ঠা মে ট্রেনের টিকিট কাটেন প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি, তাঁর স্ত্রী, ভাই এবং তাঁর পরিবার সমেত মোট ৫ জনের টিকিট কাটা হয়েছিল। ৩ জুলাই মাইসোর থেকে রাত সাড়ে ১২টায় তাঁদের ফেরার ট্রেন ধরার কথা ছিল। সিট ছিল AC থ্রি-টিয়ারের B1 কামরায়। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দাবি, ওইদিন রাতে প্ল্যাটফর্মে পৌছে তাঁরা দেখেন, কোনও রিজার্ভেশন চার্ট টাঙানো নেই। এদিকে রেল অ্যাপসে প্রদীপবাবু দেখেন, তাঁদের টিকিট ক্যান্সেলেশন মডিফিকেশন লেখা। এনকোয়্যারি থেকে স্টেশনের ডেপুটি ম্যানেজার, সবাইকেই তিনি বিষয়টি বলেন। তাঁরাই ট্রেনে উঠে যেতে বলে পরিবারটিকে।


কিন্তু দেখা যায়, তাঁদের সিটে অন্য যাত্রীরা বসেছিলেন। টিকিট পরীক্ষককে জানানো হলে, কমার্শিয়াল কন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, ৬ মে শেওড়াফুলি থেকে তাঁদের চারটি টিকিট ক্যানসেল করা হয়। এনিয়ে টিকিট পরীক্ষকের কমপ্লেন বুকে অভিযোগও জানান প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু রাত ২টো নাগাদ তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাজারো ঝঞ্ঝাটের পর, পরদিন তত্‍কালে টিকিট কেটে কোনওমতে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।


ইতিমধ্যে শেওড়াফুলি স্টেশনে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। কিছুদিন আগেই বেনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোদে শেওড়াফুলি রেল কাউন্টারের এক অফিসার সাসপেন্ডও হন। এবার ফের অভিযোগের আঙুল ওঠায় স্পষ্টতই বেড়েছে অস্বস্তি। 


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে যেতেই শুরু বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ