নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের ডুয়ার্সে ঘটল গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জঙ্গলে একটি গন্ডারের দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। গন্ডারের খড়্গটি না মেলায় এটি চোরা শিকারের ঘটনা বলে মনে করছে বনদফতর। গরুমারার বনবাংলোর কাছে এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে অভয়ারণ্যটির বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গরুমারা বনবাংলোর অদূরে জঙ্গলের মধ্যে গন্ডারের দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছন বনাধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তের পর এটি চোরাশিকারের ঘটনা বলে জানিয়েছেন তারা। তদন্তের কাজে নামানো হয়েছে বনদফতরের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। 


সপ্তাহখানেক আগেই আলিপুরদুয়ারের বক্সা বনাঞ্চলে চোরাশিকারিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীন এক বনকর্মীর গুলিতে আহত হন আরেক বনকর্মী। তার পরই ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে চোরাশিকাদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছিল বনদফতর। তার পরও অঘটন রুখতে পারল না তারা। 


নেতাজির নামে আন্দামানের দ্বীপের নামকরণ করতে চলেছে মোদী সরকার


ডুয়ার্সের জঙ্গলে শীতকালে চোরাশিকারিদের উত্পাত নতুন নয়। বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করে দেহাংশ বিদেশে পাচার করে তারা। চোরাশিকারিদের নিশানায় সব থেকে উপরে থাকে গন্ডার। ২০১৭ সালে ডুয়ার্সের জঙ্গলে চোরাশিকারিদের হাতে মৃত্যু হয় ৩টি গন্ডারের। তাতে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ২০১৮-য় জলদাপাড়ায় একটি গন্ডারকে হত্যা করে চোরাশিকারিরা। সেই ঘটনায় অরুণাচলের এক নিশানাবাজকে গ্রেফতার করে পুলিস। চলতি বছরে চোরাশিকার রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বনদফতর। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, তাতেও রোখা গেল না অঘটন।