নিজস্ব প্রতিবেদন: আর বাড়ি ফেরা হয়নি ছোট্ট ঋষভের। ৮ দিন পর শ্রীরামপুরের বাড়িতে নিয়ে আসা হল তার নিথর দেহ। ১৪ ফেব্রুয়ারি পোলবা দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ঋষভকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। দীর্ঘ ৮ দিনের লড়াই-এ শেষে আজ ভোরেই মারা যায় হয় ঋষভ। স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া খুদের এলাকায়। তাকে শেষ দেখা দেখতে বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। ময়না তদন্তের পর সাড়ে বারোটা নাগাদ খুব কম সময়ের জন্য ঋষভের মরদেহ নিয়ে আসা হয় শ্রীরামপুরের বাড়িতে। তবে বেশীক্ষণ রাখা সম্ভব হয়নি তার দেহ। ভিড়ের মাঝেই ফের বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ঋষভকে।


কান্নায় ভেঙে পড়েন খুদের বাবা-মা। ভারক্রান্ত মন প্রতিবেশীদেরও। শুক্রবার সন্ধের পরই কার্যত শেষ হয়েছিল সব। একে একে ফেল হয় মাল্টিঅর্গান। রাতভর চিকিৎসকরা একাধিক জীবনদায়ী ব্যবস্থা নিলেও কোনও কাজ হয়নি। ভোরেই এল দুঃসংবাদ। হার মেনেছে খুদের শীর্ণ শরীর। খুদে পড়ুয়ার আকস্মিক মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলে। পিছু ছাড়ছে না আশঙ্কাও। দায় কার? কোথায় বিচার?  হাহুতাশ করছে সন্তানহারা বাবা-মা। কবে বাড়বে সচেতনতা? কী করছে পুলিস? প্রশ্ন তুলছেন পড়শিরা। পোলবা দুর্ঘটনার এই মর্মান্তির পরিণতির পর সোমবার হুগলিতে পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলকার মালিকরা।