নিজস্ব প্রতিবেদন : সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র ঋষিক কোলের মৃত্যুতে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আত্মঘাতী ছাত্রের সুইসাইড নোট জি ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে। আর তা থেকেই জানা যাচ্ছে, কলেজে ভর্তির জন্য বাবা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন ঋষিকের বাবা। আর সেকারণে তাঁর ফিরে আসার কোনও পথ নেই বলে মনে হয়েছিল ঋষিকের। যা দেখে পুলিসের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ঋষিক কোলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুইসাইড নোটে ঋষিক লিখেছেন, তিনি সিঙ্গুর থেকে এসে কলকাতায় খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। বাংলা মাধ্যমে পড়ে ইংরেজি মিডিয়ামে সহপাঠীদের সঙ্গে তাঁর মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, তাঁর ফিরে আসারও কোনও পথ নেই। কারণ ইতিমধ্যেই ভর্তির জন্য তাঁর বাবা পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন।


সিঙ্গুরে কিসমত অপূর্বপুরের বেলতলা লেনে বাড়ি ঋষিকের। বাবা চুঁচুড়ার কলেজে লাব্রেরিয়ান ছিলেন। মা স্কুলে পড়ান। বাড়িতে আগাগোড়াই পড়াশোনার পরিবেশ। দিদিও আইআইটিতে ফিজিক্স নিয়েই গবেষণা করছেন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো, মেধাবী ছাত্র ছিল ঋষিকও। পাড়া প্রতিবেশীরা বলছেন, একদম সাদাসিধে ছেলে ছিল ঋষিক। জামাকাপড় নিয়ে কোনও বাহুল্য ছিল না। ঋষিকের স্বপ্ন ছিল জেভিয়ার্সে পড়া। লক্ষ্য ছিল অধ্যাপক হওয়ার। সেই ছেলের এমন পরিণতি মানতে পারছেন না কেউই।



শুধু সহপাঠীদের মতো ইংরেজিতে চোস্ত কথা বলতে না পারার জন্য আত্মহত্যা করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ঋষিক? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও 'ঘটনা' লুকিয়ে আছে? হস্টেলে ঋষিককে কোনওভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল কিনা? পরিবার থেকে শিক্ষক সকলেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন। সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস কুমান সিনহা দাবি করেছেন, ইংরেজিতে লেকচার শুনতে সমস্যা হয়ে থাকলেও, তারজন্য আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত ঋষিক নিতে পারে একবারও মনে হয়নি। বুধবার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ঋষিকের বাবা। কিন্তু তখনও বাবার কাছে ইংরেজি নিয়ে ঋষিক কোনও অভিযোগ করেনি বলে পারিবারিক সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে 'ভাইরাল' সোশ্যালে, অভিযুক্ত মালদার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান


যদিও কলেজ বা হস্টেলে কোনও Ragging বা হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে বলা হয়েছে, "মাত্র দু’দিন হয়েছে ক্লাস করেছে। ওর যে কোনও সমস্যা ছিল, সেটা বোঝার জন্যও সময় পাওয়া যায়নি। কাউন্সেলিং করার সময় পাওয়া যায়নি। বাংলা মিডিয়াম থেকে অনেকে এখানে পড়াশোনা করে। সেটা কোনও সমস্যা নয়। আর পরিবারকে যে জানাব সে ক্লাস করছে না, তার জন্যও নির্দিষ্ট সময় লাগে। মৃত্যুটা অপ্রত্যাশিত।" কলেজের প্রফেসর ডা সিলভার স্পষ্ট কথায়, "এখানে কোনও Raging হয় না।" প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিন্দমোটর-উত্তরপাড়ার রেললাইনের মাঝে উদ্ধার হয় ঋষিক কোলের দেহ।