নিজস্ব প্রতিবেদন : চাপে পড়ে অবশেষে শ্রীরামপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন রিষড়া বিধান কলেজে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত সাহিদ হাসান। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩২৩, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই সাহিদের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রিষড়ার নির্যাতিতা ছাত্রী। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান ওই ছাত্রী। অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে কলেজ গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই ও বিজেপি।


বৃহস্পতিবার কলেজের সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ সামনে আসতেই সামনে আসে কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই ছাত্রীকে চড়, থাপ্পড়, লাথি মারছেন অভিযুক্ত সাহিদ। নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন বিধান কলেজের জিএস সাহিদ হাসান। তিনি সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তাঁর উপর শুরু হয় অত্যাচার। বার বারই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হতে থাকে। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও।


তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা অধ্যক্ষকে জানালেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এমনকী, বুধবার এসিপি শ্রীরামপুরের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও পুরসভার উপ-প্রধানের ছেলে হওয়ায় হাত গুটিয়ে বসেছিল পুলিস। শেষে বৃহস্পতিবার দিনভর ওই ফুটেজ ঝড় তোলার পর রাতে এফআইআর গ্রহণ করে পুলিস।


আরও পড়ুন, কলেজের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিধান কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রীর


অন্যদিকে গতকালই এই ঘটনায় হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে খারিজ করা হয় অভিযুক্ত সাহিদ হাসানের টিএমসিপির সদস্যপদ। এরপর রাজ্য নেতৃত্বের চাপে পড়ে জিএস পদ থেকেও পদত্যাগ করেন সাহিদ।