নিজস্ব প্রতিবেদন: গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নাকি তিনি থাকবেন না। কিন্তু তিনি থাকছেন। আর শুধু থাকছেন না, একেবারে মঞ্চে প্রধান অতিথিদের মধ্যে আলো করে বসেছেন। তিনি সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে দেখা গেল ঋতব্রতকে। রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পরই সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তিনি কি তৃণমূলে যাবেন? কিন্তু সেই গুঞ্জনে জল ঢেলেছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কারণ, ঋতব্রতর সা্ংসদ পদের মেয়াদ পূর্ণ হতে এখনও ২ বছর বাকি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজ্যসভার সাংসদকে তাঁর দল বহিষ্কার করলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয় না। বরং তিনি 'আন অ্যাটাচড' সাংসদ থাকতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এই সময়কালে যদি তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই এখনই ঋতব্রত তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন না বলে খবর। 


আরও পড়ুন: রেকর্ড ভিড়ের অপেক্ষায় 'একুশের ২৫'


সরাসরি জোড়া ফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন না, কিন্তু কাস্তে হাতুড়ির মোহ কাটিয়ে তিনি যে জোড়া ফুলের দিকে ঝুঁকেছেন, তা প্রমাণ মিলেছে দিন কয়েক আগেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের আদিবাসি উন্নয়ন কমিটির শীর্ষে বসেছেন তিনি। এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেও উপস্থিত হলেন ঋতব্রত। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সিপিএমের বিক্ষুব্ধ ছাত্র যুব নেতৃত্বের একাংশকে তৃণমূলমুখী করছেন তিনি। সব মিলিয়ে, একদা সিপিএমের 'মুখ'কে এদিন দেখা গেল তৃণমূলের একুশের মঞ্চে। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ বলছেন, এটাই বোধহয় পঁচিশতম একুশে জুলাইয়ের অন্যতম চমক!