দেবব্রত ঘোষ ও বাসুদেব চট্টপাধ্যায়: রানিগঞ্জের পর এবার হাওড়ার ডোমজুড়। দুঃসাহসিক ডাকাতি সোনার দোকানে। কর্মীদের বেঁধে রেখে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মার। তার পর অবাধে লুটপাঠ চালাল ডাকাতরা। সোনা ও গহনা নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতরা। রবিবার রানিগঞ্জের একটি গহনার দোকানে বিপুল টাকা সোনা লুট করে পালায় ডাকাতরা। এইসময় গুলিগোলাও চলে। ডাকাদের গ্রেফতারও শুরু করে দিয়েছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিট নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ, জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি


ডোমজুড় থেকে কিছুটা দূরে একটি জনবহুল ঘিঞ্জি এলাকায় একটা বহুতলের নীচে ওই সোনার দোকান। হাসপাতাল, বিডিও অফিস, ডোমজুড় বাজারের কাছেই ওই দোকান। এরকম একটি জায়গাতেই দিনদুপুরে অভিযান চালাল ডাকাতরা। জানা যাচ্ছে মোট চার জন দুষ্কৃতী দোকানে আসে। তাদের সঙ্গে ছিল বন্দুক সহ অন্যান্য অস্ত্র। এদের মধ্যে ২ জন প্রথমে দোকানে ঢোকে। দোকানে ঢুকে তারা সোনার পেনডেন্ট দেখতে চায়। দোকানের কর্মীরা তাদের সোনার পেনডেন্ট দেখান। এর মধ্যেই আরও ২ দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে পড়ে। সবার কাছেই ছিল আগ্নেয় অস্ত্র। ডাকাতরা বন্দুক বের করে কর্মীদের মাথায় ধরে সোনার জিনিসপত্র বের করে দিতে বলে। সিন্দুকের চাবি চাওয়া হয়। তাতে আপত্তি করলে একজন কর্মীর মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়।


দোকানে কর্মীরা জানাচ্ছেন, ডাকাতরা প্রত্যেকে হিন্দিতে কথা বলছিল। কর্মীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এভাবেই কয়েক লক্ষ টাকা সোনার গহনা লুট করে নিয়ে বাইকে চড়ে তারা পালিয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখেই ডাকাতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তাদের বক্তব্য, এরকম ভরা বাজারে যদি ডাকাতি হয় তাহলে ব্যবসা করা যাবে কীভাবে।


এদিকে, গতকাল রানিগঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক গুলিবিদ্ধ ডাকাত। বিহারের সিওয়ান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোনু সিং নামে ওই ডাকাতকে। আগেই ধৃত সুরজ সিংকে গ্রেফতার পরে তার নাম পায় পুলিস। ধানবাদের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিল এই সোনু। তাকে নিয়ে আসা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যালে। সেখানেই তার চিকিত্সা চলছে। ডাকাতির সময় এক পুলিস কর্মীর সঙ্গে ডাকাতদের গুলির লড়াই চলে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয় ২ ডাকাত। এক দুষ্কৃতি আগেই ধরা পড়ে যায়।


রানিগঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় বাকী ডাকাতদলের খোঁজে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিস ছাড়াও তদন্তে নেমেছে সিআইডি। জানা যাচ্ছে ঝাড়খন্ডের গিরিডি ও  হাজারিবাগ-সহ অন্যান্য জেলায় সেখানে তল্লাশি চলছে। বিহারের পুলিসও ওই ডাকাতির তদন্তে নেমেছে। হাজারিবাগ থেকে আনা হয়েছে ডগ স্কোয়াড। এখনও অধরা ৫ ডাকাত। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।  আসানসোল পুলিস কমিশনারেটের পুলিসে নেতৃত্ব তদন্ত চলছে। এখনওপর্যন্ত যে খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে ডাকাতদের বাড়ি বিহারের নকশাল অধ্যুসিত এলাকায়। ফলে সেখানে ঢুকতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিসকে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)