দিনেদুপুরে সল্টলেকে ভয়াবহ ডাকাতি, গৃহকর্ত্রীকে মারধর

পুলিসের প্রাথমিক অনুমান কোনও পূর্বপরিচিত ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনেদুপুরে সল্টলেকের অভিজাত এলাকায় ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে সল্টলেকের বিডি ব্লকের একটি বাড়িতে। বাড়িতে ঢুকে এক দুষ্কৃতী গৃহকর্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আক্রান্ত ওই মহিলার পরিবারের দাবি, ওই দুষ্কৃতী প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। খোয়া গিয়েছে সোনার গয়নাও। বিধাননগর উত্তর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন! হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে উদ্ধার যুবতীর নগ্ন দেহ
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেকের বি ডি ৭৬ ব্লকের বাসিন্দা রামচন্দ্র ধোনা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী দুপুরে সেই বাড়িতে এক ব্যাক্তি এসে দরজায় ধাক্কা দেয়। সেই সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন গৃহকর্ত্রী রেনু ধোনা। গৃহকর্ত্রীকে ওই ব্যক্তি দরজা খুলতে বলে।
রামচন্দ্র ধোনার পরিবারের অভিযোগ, মহিলা দরজা খুললেই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। এর পরেই তাঁকে ঘরের ভিতরে ধাক্কা মেরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে ও মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: শালতোড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা
এর পরেই মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে ওই ব্যক্তি আলমারি খুলে নগদ লক্ষাধিক টাকা এবং লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার মাথার আঘাত গুরুতর। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও তথ্য তিনি এখনই বলতে পারছেন না। তাই ওই মহিলা সুস্থ হয়ে ওঠার আগে ঘটনাস্থলের আসপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিস।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীর বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান কোনও পূর্বপরিচিত ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ওই বাড়িতে এর আগে যতজন পরিচারক বা পরিচারিকা কাজ করেছেন, তাঁদেরকেও সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল হলেই আততায়ীর স্কেচ তৈরি করা হবে।