মনোরঞ্জন মিশ্র: গত ২৯ অগাস্ট রাজ্য সোনার গহনার শোরুমে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একটি পুরুলিয়ায়। আর অন্যটি রানাঘাটে। কাকতালীয়ভাবে ওই দুটি জায়গাতেই একই কোম্পানির শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এবার পুরুলিয়ায় ডাকাতির তদন্ত করতে গিয়ে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিল তদন্তকারী স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(সিট)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মধ্যরাতে কী পদক্ষেপ রাজ্যপালের! সাসপেন্সের মধ্যেই সন্ধেয় রাজভবনে মুখ্যসচিব


সিটের তদন্তে উঠে এসেছে জেলে বসেই পুরুলিয়ার ওই সোনার গহনার শো রুমে ডাকাতির ছক কষা হয়। পুরুলিয়া জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে পুরুলিয়া শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূর ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় একত্রিত হয়ে ডাকাতরা ডাকাতির প্ল্যান করে। এর জন্য ২০-২৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুরুলিয়া শহরে রেইকি করা হয়। তারপরই ২৯ অগাস্ট ভর দুপুরে পুরুলিয়ার নমোপাড়া এলাকায় সোনার বিপণিতে লুঠপাট চালায় ডাকাতরা। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে পড়ে ডাকাতদল।  শোরুমের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী বেঁধে রেখে শুরু হয় লুঠপাট! স্রেফ সোনার গয়না নয়, সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়েও পালায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ৮ কোটি টাকার গহনা লুঠ করে ডাকাতদল।


ডাকাতির সাত দিন পর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুরুলিয়া পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল। তবে গত ৬ সেপ্টেম্বর নয়ডা থেকে একজনকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া পুলিস। তাকে জেরা করে পুলিস আর একজনের সন্ধান পায়। তার নাম করমজিত্ সিং সিধু। তাকে আজ ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ডাকাতির ঘটনায় আরও ৫ জন জড়িত। তবে বড় তথ্য হল গোট ডাকাতির ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডের সন্ধান পেয়েছে পুলিস। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।


শনিবার জেলা পুলিস সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিস সুপার অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলা থাকার সময়েই অভিযুক্তরা ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তারপর জেল থেকে বেরিয়ে তারা ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় মিলিত হয়ে ডাকাতির ছক কষে। এখন ডাকাতি হওয়া গহনা কোথায় ডাকাতরা বিক্রি করেছে বা লুকিয়ে রেখেছে এখনও জানা যায়নি। বাকী অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।


পুলিসের তরফে এদিন বলা হয়, পুরুলিয়ার নমোপাড়ায় ডাকাতির ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের চাষনালা এলাকা থেকে করমজিত্ সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাতি করার জন্য গত ২০ অগাস্ট থেকে তারা রেইকি চালাচ্ছিল। পুরুলিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ঝড়খণ্ডের একটি জায়গায় তারা আশ্রয় নেয়। নিয়মিত তারা রেইকি করার জন্য পুরুলিয়ায় আসছিল। একটি জেল থেকেই এই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়। যে আসল মাথা সে এখন জেলেই রয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)