নিজস্ব প্রতিবেজন: মা মারা গিয়েছে। বাড়িতে দেহ কবর দেব। বিডন স্ট্রিটের পরিচিতের কাছে এমনই আর্জি ছিল মৈত্রেয় ভট্টাচার্যের। স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়কগাছ। ওই পরিচিতই খবর দেন পুলিসে। তড়িঘড়ি পুলিস হানা দেয় চার নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে মৈত্রেয় ভট্টাচার্যের বাড়িতে। আর সেখানে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিসেরই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ির পাঁচিলে, বাইরের দেওয়ালে সাঁটা মৃত মা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি।  বাবা পেশায় চিকিত্‍সক গোরাচাঁদ ভট্টাচার্য মারা গিয়েছেন ২০১৩ সালে। তাঁরও নথি সাঁটানো। মিলেছে মৈত্রেয়র ভোটার কার্ডও। 


সল্টলেকে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। মায়ের পচাগলা মৃতদেহের সঙ্গে বাস করছিলেন ছেলে। কবর দেওয়ার কথা ছিল মা'কে। কারণ তারা খ্রিষ্টান, দাবি করেছেন মৃতা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের ছেলে মৈত্রেয়। বাড়ির মধ্যেই উদ্ধার হয় কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের পচা গলা দেহ। কাঠের আলমারির ওপর । গলে পড়ছে পচা শরীর। গন্ধ পাননি প্রতিবেশীরা? স্থানীয়দের দাবি, না গন্ধ আসেনি। 


দরজা, জানলা যতই বন্ধ থাকুক গন্ধ বেরোবে না? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে গুলির শব্দ নিয়ে। দিন দশেক আগে গুলির শব্দ পেয়েছিলেন মৈত্রেয়র উল্টোদিকের বাড়ির বাসিন্দারা। ছিল বারুদের গন্ধও। 


আরও পড়ুন- ক্ষমতাচ্যুত তিন রাজ্যে মোদীকেই ভোট লোকসভায়, ঘাটতি মেটাচ্ছে ওডিশা: রিপাবলিক সমীক্ষা


এই বাড়ি ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা। মাসখানেক হল কৃষ্ণা দেবীকে দেখতে পাননি পড়শিরা। হাসপাতালেও তার আগে ভর্তি হয়েছিলেন।  মৈত্রেয় উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু কোনও কাজ করতেন না। মা শিক্ষিকা ছিলেন। সেই পেনশনের টাকাতেই দিন গুজরান। বাবা ছিলেন ইউরোলজিস্ট। বাবার  মৃত্যু নিয়েও দুরকম কথা। কেউ বলছেন স্বাভাবিক মৃত্যু। কেউ বলছেন মৃত্যু প্রদীপের আগুনে। তবে মৈত্রেয় মানসিক ভারসাম্যহীন। বলছেন স্থানীয়রাই। আপাতত জেরা চলছে মৈত্রেয়র।