বেশ কিছু জায়গায় হিংসা ছড়াচ্ছে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গারা, NRC হলে ভাল হবে রাজ্যের: কেশরীনাথ
তিনি বলেন, `বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের জন্য হিংসা বেড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তারাই হিংসা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, তারা বাইরে থেকে লোক এনে হিংসা ছড়াচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্যকাল শেষের আগে বিস্ফোরক রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। শনিবার জ়ি ২৪ ঘণ্টার সহযোগী আন্তর্জাতিক চ্যানেল WION-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বৈষম্যহীন ভাবে পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের।' রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গারা হিংসা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বসিরহাট দাঙ্গার সময় রাজ্যপাল বিজেপির ব্লক সভাপতির মতো কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই প্রসঙ্গে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, এটা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। যা আমার সঙ্গে মেলে না। যদি একজন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন তাহলে তারা কোথায় যাবেন? রাজভবন হল সেফটি ভালব। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। আমি মনে করিয়ে দিয়েছি।' রাজ্যপালের কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কথা না শুনলে তারা রাজভবনে আসেন। রাজভবন কোনও বদ্ধ দুর্গ নয়। রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা। যে কেউ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।'
আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও জেলায় হিংসা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আমি রাজ্য সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বৈষম্যহীন হতে বলেছিলাম।'
রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে চুপ করে ছিলেন রাজ্যপাল, বিদায়বেলায় দায়িত্ব সেরে গেলেন: দিলীপ
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের জন্য হিংসা বেড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তারাই হিংসা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, তারা বাইরে থেকে লোক এনে হিংসা ছড়াচ্ছে। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন হিংসার বীজ রয়েছে ঘরেই।'
এদিন NRC নিয়েও তাঁর খোলামেলা মত প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। বলেন, 'অমিত শাহ বলেছেন NRC গোটা দেশে হবে। অসমে কী ভাবে জনবিন্যাস বদলেছে সবার জানা। সেখানকার মানুষ NRC-কে স্বাগত জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে NRC-র লাগুর কোনও ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকার না করলেও এখানকার কয়েকটি রাজনৈতিক পক্ষ পশ্চিমবঙ্গে NRC লাগু করতে দেব না বলে হুঙ্কার ছাড়তে থাকে। অসমিয়া ও বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতেই একাজ করেছিল তারা।'
NRC হলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।