নিজস্ব প্রতিবেদন : ধার দেওয়া ৮ লক্ষ টাকা ফেরত নিতে এসে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। মৃতের নাম গুনানজি সাউ। পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ানের নাম সুকান্ত সাউ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শালিমারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শালিমার এলাকার ১ নম্বর গেটের কাছ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। নিহত গুনানজি সাউ দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় এক জুট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। একইসঙ্গে ওই এলাকারই এক জগন্নাথ মন্দিরের কমিটির কর্তা। বর্তমানে তিনি মন্দির কমিটির টাকা সুদে খাটানোর ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদেই বছর খানেক আগে সুকান্ত সাউ নামে ওই আরপিএফ জওয়ান গার্ডেনরিচ এলাকায় পোস্টিং থাকা অবস্থায় গুনানজির কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা ধার নেন। 


অভিযোগ, সেই টাকা আর শোধ করছিলেন না আরপিএফ জওয়ান। ইতিমধ্যেই তাঁর পোস্টিং হয়ে যায় শালিমারে। এরপর গত ৩ তারিখ হঠাৎই সুকান্ত সাউ ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে গার্ডেনরিচ থেকে শালিমারে নিয়ে আসেন গুনানজিকে। তারপর শালিমার ১ নম্বর গেটের কাছে ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করে গুননজির মাথা থেঁতলে খুন করেন ওই আরপিএফ কর্মী। রক্তাক্ত দেহটি তারপর ওই এলাকারই একটি গেটের ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেন অভিযুক্ত। 


এদিকে দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও গুনানজি বাড়িতে না ফেরায়, খোঁজাখুঁজি শুরু হয় পরিবারের তরফে। অভিযুক্ত সুকান্তের কাছেই প্রথমে গিয়ে গুনানাজির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। সুকান্ত তাঁদের জানান, ওই দিন রাতে টাকা ফেরত দিয়ে গুনানজিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই মৃতের পরিবার শিবপুর থানার দ্বারস্থ হন। পুলিসের তরফে শুরু হয় তদন্ত। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের তরফে শালিমার এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। 


তখনই ঝোপের ধরে পচা গলা থেঁতলানো দেহটি দেখতে পান তাঁরা। পাশে পড়ে থাকা পরিচয়পত্র ও জামা দেখে গুনানজির দেহ শনাক্ত করেন পরিজনরা। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে শিবপুর থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। পাশাপাশি অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীকেও আটক করেছে শিবপুর থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, আমফানে ক্ষতি ৮০ হাজার কোটি! কেন্দ্রীয় দলকে আগামিকাল 'হিসেব' দেবেন মুখ্যসচিব