হাতের কাজেই বাড়তি রোজগার, পথ দেখাল ‘সবুজলতা’
হাতির হানা থেকে উপেক্ষা করে জংগলে আর কাঠ কুড়োতে যায়না ঝর্না বা কবিতা রায়েরা। নিজেদের তৈরি পোষাক বানিয়েই সংসারে বাড়তি রোজগার করছেন তারা। স্বপ্ন আগামী দিনে স্কুল পড়ুয়ারা তাঁদের হাতে তৈরি ইউনিফর্ম পড়ে স্কুলে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতির হানা থেকে উপেক্ষা করে জংগলে আর কাঠ কুড়োতে যায়না ঝর্না বা কবিতা রায়েরা। নিজেদের তৈরি পোষাক বানিয়েই সংসারে বাড়তি রোজগার করছেন তারা। স্বপ্ন আগামী দিনে স্কুল পড়ুয়ারা তাঁদের হাতে তৈরি ইউনিফর্ম পড়ে স্কুলে যাবে।
আরও পড়ুন- কেষ্টর ভোকাল টনিক আর দুরন্ত গতিতেই ভরসা দলের, বাড়ছে আরও সাংগঠনিক দায়িত্ব
জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকন্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম মনিংগাঝোরা। জঙ্গলে হাতির হানার ভয়কে উপেক্ষা করে এই গ্রামের বেশিরভাগ মহিলারা সংসারে বাড়তি আয় যোগাতে জঙ্গলে গিয়ে কাঠ বা শালপাতা কুড়োতো।
আরও পড়ুন- গাল ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল টুথ ব্রাশ, অস্ত্রোপচারে সুস্থ হলেন মহিলা
এরপর তাঁদের মাথায় ভাবনা আসে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বানালে সহজেই বাড়তি আয় করা যায়। গ্রামের ১০ জন মহিলা মিলে বানিয়ে ফেলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী " সবুজলতা’। এরপর যোগাযোগ করেন বেলাকোবার রেঞ্জারের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- সোমলতার অভিযোগ ভিত্তিহীন! পাল্টা পথে নামল পড়ুয়া ও শিক্ষকরা
রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন গোষ্ঠী বানিয়ে তাঁরা আমাদের কাছে বিকল্প আয়ের ব্যাপারে আসেন। মহিলারা জানান তাঁরা রেডিমেড পোষাক বানাবেন। এরপর আমরা জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হয়। এখন তাঁরা দিনে অন্তত ৫০ - ৭৫ টি নাইটি, সায়া বানিয়ে পাইকার দের সরবরাহ করছেন। বিনিময়ে সায়া বা নাইটি পিছু ৮-১০ টাকা পাচ্ছেন। এইভাবে দিনে ‘সবুজলতা’ গোষ্ঠী ৬০০- ৭৫০ টাকা রোজগার করছে। যা তাদের সংসারের কাজে লাগছে। এবারে তাঁরা চায় স্কুলের পোষাক তৈরি করতে।