তথাগত চক্রবর্তী: কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানীরধল এলাকা থেকে গ্রেফতার কুলতলিকান্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সরদার ও কুলতলির সিপিআইএম নেতা মান্নান খান । সিপিআইএম নেতার মাছের ভেড়ির আলা ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাদ্দামকে। সোমবার ঘটনার পর থেকে মাছের ভেড়িতে আশ্রয় নেয় সাদ্দাম। এখনও অধরা সাদ্দামের ভাই সাহারুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে যোগীকে! জোর জল্পনা উত্তর প্রদেশে


পুলিসের কাছে খবর ছিল মাছের ভেড়িতে লুকিয়ে রয়েছে সাদ্দাম। সেই খবর অনুযায়ী বুধবার বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে অভিযান চালায় কুলতলি থানার পুলিস। সোমবার গুলি চালানার ঘটনার পর থেকেই বাড়ির পাশের খাল পেরিয়ে সে ওই ভেড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভেড়িটি মান্নান খান নামে এক সিপিএম নেতার। সাদ্দামকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিসের উপরে গুলি চালনা ও সোনা পাচারকাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।


উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সাদ্দামকে চুরি, ছিনতাই-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। খুনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার কাছ থেকে অস্ত্রও পাওয়া যায়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নকল সোনা ও জাল নোটের কারবার করার অভিযোগ রয়েছে। তারপর পয়তারহাটে পুলিসের উপরে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। সাদ্দামের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি ও সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়েছে।


সোমবার গুলিকাণ্ডের পর সাদ্দাম মাছের ভেড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে সে ছিল মাছ পাহারা দেওয়ার ঘরে। এলাকাটি জনবসতি থেকে দূরে। ফলে তার খোঁজ পাওয়া মুসকিল ছিল। কিন্তু সূত্র মারফত পুলিসের কাছে সেই খবর চলে আসে। এখন দেখা হচ্ছে সাদ্দামের আশ্রয়দাতা মান্নানের সঙ্গে সাদ্দামের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা।


এদিকে, সোমবার পুলিসের উপরে গুলি চালানার ঘটনার পর সাদ্দামের খোঁজে পুলিস যায় তার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাজ্জব পুলিস। দেখা যায় সাদ্দামের শোয়ার ঘর থেকে একটি সুড়ঙ্গ গিয়ে মিশেছে খালে। সেই খাল গিয়ে পড়েছে মাতলা নদীতে। ফলে আশঙ্কা করা হয়েছিল সাদ্দাম হয়তো বাংলাদেশেও চলে যেতে পারে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে, শুধু নকল সোনা নয়, বহুমূল্য মূর্তিরও কারবার চালাত এই দলটি। কারবার চলত জাল নোটেরও। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, কম দামে সোনা বিক্রির টোপ দিয়ে চক্রের লোকজন এই পয়তারহাট গ্রামে ডেকে নিয়ে আসত ক্রেতাদের। তারপর চলত দরদস্তুর। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নকল সোনা গছিয়ে দেওয়া হত ক্রেতাদের।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)