Malbazar: পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল চা-বাগান, কর্মহীন ১২০০ শ্রমিক...
Malbazar Tea Garden: লক আউট নোটিসে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে এই চা-বাগান আর্থিক সংকটে রয়েছে। কিন্তু ইদানীং সমস্যা যেন আরও বাড়ছে। যদিও এর পরেও শ্রমিকদের মজুরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল সামসিং চা-বাগান। আর্থিক অনটনের জন্য বাগান বন্ধ করার নোটিস দিল মালিকপক্ষ। ফলে, কর্মহীন হয়ে পড়ল বাগানের প্রায় ১২০০ শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে বাগান বন্ধের নোটিস জানতে পারেন শ্রমিকরা। পুজোর মুখে বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের।
আরও পড়ুন: Malbazar: অবশেষে খুলে গেল সাইলি চা-বাগান, খুশির হাওয়া চা-শ্রমিকদের মধ্যে...
লক আউট নোটিসে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে এই চা-বাগান আর্থিক সংকটে রয়েছে। কিন্তু ইদানীং সমস্যা যেন আরও বাড়ছে এই চা-বাগানে। এর পরেও বাগান শ্রমিকদের মজুরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছেন কর্তৃপক্ষ। শেষমেষ কোনও উপায় না থাকায় বাগান বন্ধ করতে বাধ্য হন তাঁরা।
বাগান বন্ধের নোটিস জারি হলেও এদিন বাগানে শ্রমিকদের সেভাবে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। বাগানের ফ্যাক্টরির গেট ছিল বন্ধ, ফ্যাক্টরিতেও কোনও কাজকর্মও হয়নি। বাগানে ছিল না কোনও অফিসকর্মীও। বাগান বন্ধের নোটিস পেয়ে আজ, বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জলপাইগুড়ির ডিএলসি অফিসে যান। বাগানের শ্রমিকদের কোনও বিক্ষোভসভাও ছিল না।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: কৃষ্ণসায়রের জল নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাঢ়জননী সর্বমঙ্গলার পুজো...
এদিকে, সোমবার খুলেছিল নাগরাকাটা ব্লকের নয়া সাইলি চা-বাগান, আর আজ, মঙ্গলবার খুলে গেল মাল ব্লকের সাইলি চা-বাগান। স্বস্তি এই বাগানের চা-শ্রমিকদের মধ্যে। সকাল থেকেই সাইলি চা-বাগান কাজে যোগ দিলেন শ্রমিকেরা। পুজার বোনাস নিয়ে আলোচনা চলাকালীন হঠাৎই গত শুক্রবার সাইলি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক সাসপেনশন ঘোষণা করে চা-বাগান ছেড়ে চলে যান। অথই জলে পড়েন চা-বাগানের কর্মরত প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। বাগান খোলার দাবি নিয়ে শ্রমিকরা সোচ্চার হন। শ্রম দফতর তৎপরতা শুরু করে। গত শনিবার মালের সহকারী শ্রম আধিকারিক প্রণবকুমার দাস সাইলি ও নয়াসাইলি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার নয়া সাইলি চা-বাগানের মীমাংসা হয়। বাগান খুলে যায়।