সরস্বতী পুজোয় জুটিতে ঘুরলেই কড়া শাস্তি! হুঁশিয়ারি পোস্টার `বজরং দলের`
`যদি এদিন কাউকে জুটি হিসেবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারে আসার পর আনা হবে কড়া আইন।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : সরস্বতী পুজোয় জুটি বেঁধে ঘুরতে দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ল হুগলির উত্তরপাড়ায়। পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। পোস্টারের তলায় লেখা বজরঙ দলের নাম। পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে এলাকায়।
বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজো। এই দিনে হলুদ শাড়ি, হলুদ পাজামা-পাঞ্জাবিতে রাস্তায় হই হই করতে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে আট থেকে আশি। পার্কে ঘোরা, ঠাকুর দেখা, খাওয়াদাওয়া, চলতে থাকে দেদার মজা। সরস্বতী পুজোর দিনটিকে আদিকাল থেকে অনেকেই বাঙালির প্রেমের দিন হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন। আধুনিক প্রেমের ভাষায় আবার বলা হয়, বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। সেইদিনেই যুগলদের হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ল উত্তরপাড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে।
গঙ্গার ঘাটগুলিতে এদিন সকাল থেকেণ তরুণ-তরুণীদের দেখা মেলে। সেখানেই পোস্টার দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে যুগলদের। পোস্টারে লেখা, বসন্ত পঞ্চমী মা সরস্বতীর আরাধনা করার দিন। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে এই পুণ্য দিনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষ এই দিনটিকে বাংলির 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'তে রূপান্তরিত করছেন। এটা একদমই সমর্থন ও গ্রহণযোগ্য নয়। যদি এদিন কাউকে জুটি হিসেবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোস্টারে আরও উল্লেখ, সরকারে আসার পর এধরনের বিচ্যুতি রুখতে কড়া আইনও আনা হবে। এই পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, "বজরং দল ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও শাখা সংগঠন নয়। তারা কী লিখছে, তা তো আমরা বলতে পারব না। হ্যাঁ এটা সত্যি যে, আজ সরস্বতী পুজোর দিন। এটাকে আমরা ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে মানি না। এটা ভারতের সংস্কৃতি নয়, সেটা একদমই ঠিক। তবে বজরং দল আমাদের কোনও শাখা সংগঠন নয়। পোস্টারের দায়িত্ব বজরং দলের।"
অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, "শুধু পোস্টার পড়েনি। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে সেখানে হুমকি মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। বজরং দল আর বিজেপি একই। সরস্বতী পুজোর দিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সবাই অঞ্জলি দেয়, ঘুরতে বের হয়। তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এধরনের কোনও জিনিস বরদাস্ত করব না। ক্ষমতায় না এসেই উত্পাত শুরু করেছে। একটু বেশি ভোট পেলে যে এরা বাংলাকে কতটা জ্বালাবে! তার এটা প্রমাণ।"
আরও পড়ুন, ভালোবাসার টানে কিরোভ থেকে গাংনাপুরে, বিদ্যাদেবীর আরাধনায় ব্রতী রুশ বউমা