প্রসেনজিৎ মালাকার: মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের। আর তাতে 'খারাপ-ই লাগছে' বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। অভিনেত্রী তথা ৩ বারের সাংসদ শতাব্দী রায়কেই ফের বীরভূম আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওদিকে বিজেপি বেশ দেরি করেই বীরভূম আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেবাশিস ধরের নাম। কিন্তু এদিন কমিশন বাতিল করে দিয়েছে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। যা নিয়ে শতাব্দী বলেন, "প্রথম থেকেই কনফিউশন ছিল। প্রথমে অনেক দেরিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। তারপর আবার আরেকজনকে  প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়। এতেই সবাই বুঝতে পারছিল যে, ওদের কোনও সন্দেহ আছে। তাই আরও একজনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর শতাব্দী আরও বলেন,"বিরোধী হলেও খারাপ লাগছে। একটা মানুষ যখন প্রার্থী হয়, তখন তাঁর একটা মেন্টাল প্রিপারেশন থাকে যে, সে লড়বে। জিতবে না জেনেও লড়বে। কিন্তু লড়ারও একটা সেট-আপ থাকে। যদিও এতদিনে কতটা করে উঠতে পেরেছে জানি না। শুধু আমি কী করেছি, কী না করেছি, এই কথা বলা ছাড়া। শতাব্দী রায় শাড়ি পরেছেন, শতাব্দী রায় গান গাইছেন। এই কথাগুলো বলা ছাড়া উনি কী করেছেন, আমার জানা নেই। আর ১৫ বাকি, উনি আর কীই-বা করতে পারতেন! তাও আবারও বলছি আমার খারাপ লাগছে, উনি লড়তে পারছেন না বলে। তবে উনি লড়লেও আমি জিততাম। উনি যদি নাও লড়েন, তাহলেও আমি জিতব। ওনার উপস্থিতি-অনুপস্থিতি কোনওটাই আমার জেতার সঙ্গে ম্যাটার করবে না। কিন্তু খারাপ লাগাটা আমার নিশ্চয়ই, বিরোধী হলেও সে একটা জায়গায় কিছু করবে ভেবেছিল।"


প্রসঙ্গত, প্রার্থীপদ ঘোষিত হওয়ার পরই জি ২৪ ঘণ্টাতেই প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন দেবাশিস ধর। সেইসময়ই তিনি যে শতাব্দী রায় সম্পর্কে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল তা নিজ মুখে উল্লেখ করেন। দেবাশিস ধর বলেন, "আমি শতাব্দী রায়ের ব্যাপারে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। ওর সঙ্গে আমার দিদির মতো সম্পর্ক। ৩ বার সংসদে যাওয়া মুখের কথা নয়। উনি ভালো কাজ করেছেন।" ভোটের লড়াইয়ের মধ্যেও রাজনৈতিক সৌজন্যের সেই আবহ যে এখনও অটুট, তা এদিন ফের বোঝা গেল শতাব্দীর রায়ের কথাতে। 


ওদিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রার্থীপদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দেবাশিস ধর। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও এখনও মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়নি আদালত। আইনজীবীর বক্তব্য না শুনেই এজলাস ছাড়েন বিচারপতি। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বাতিল করা হয়েছে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেবাশিস ধরের 'ডিউস ক্লিয়ার' ছিল না।


আরও পড়ুন, Debasish Dhar: মনোনয়ন বাতিল দেবাশিস ধরের! বীরভূমে বাজিমাত বিজেপির চালের?



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)