স্কুল থেকে ফিরে পেটে ব্যাথা, গুণিনের কাছে গিয়েই মৃত্যু
অন্যান্য দিনের মত স্কুলে গিয়েছিল মমতাজ মণ্ডল। গোপালগঞ্জ হাইস্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্রী মমতাজ। স্কুলে অসুস্থ বোধ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্কুল থেকে ফেরার পরই পেটে ব্যাথা করছিল। বাড়িতে জানানোয় প্রথমটাই বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। ভেবেছিলেন, সময় পেরোলেই কমে যাবে পেটে ব্যাথা। কিন্তু তা কমেনি। অতঃপর, মেয়ের চিকিত্সা করাতেই হবে। কিন্তু পেটের ব্যাথা নিরাময়ে মেয়েকে চিকিত্সকের বদলে নিয়ে যাওয়া হল গুণিনের কাছে। আর তাতেই হল কাল! মেয়ে বাড়ি ফিরল বটে, তবে প্রাণ ছিল না তাতে।
আরও পড়ুন: এই মহিলাকে চমকে দিতে না জানিয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন স্বামী, ঘরে ঢুকে দেখলেন...
পেট ব্যথাতেও গুনিন। বেঘোরে প্রাণ গেল কুলতলির ক্লাস সেভেনের ছাত্রীর। পরিবারের লোকজন চিকিত্সকের কাছে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান ছাত্রীকে। ওঝা তাবিজ বেধে দেয়। কিন্তু তাতে কী আর রোগ সারে। বিকেলে অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সক কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে এই যুবকের চোখের চাহনিতেই গলেছিল ১৯ বছরের তরুণী, পরিণতি...
অন্যান্য দিনের মত স্কুলে গিয়েছিল মমতাজ মণ্ডল। গোপালগঞ্জ হাইস্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্রী মমতাজ। স্কুলে অসুস্থ বোধ করে। তীব্র পেট ব্যথা। কোনওক্রমে বাড়ি ফেরে মমতাজ। বাড়ি কুলতলি থানার দু নম্বর গরানকাটি গ্রামে। মেয়েকে কাতরাতে দেখে বাড়ির লোকজন গুণিনের কাছে নিয়ে যায় মমতাজকে। গুণিন ঝাঁড়ফুক করে তাবিজ দিয়ে দেয়। কিন্তু কিন্তু ব্যথা কমেনি। বরং অবস্থার অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: কীসের আশায় সূচ খেত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী? জানলে আঁতকে উঠবেন আপনিও
এরপরেই মমতাজকে স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে। হাসপাতাল মৃত ঘোষণা করে।