নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অথচ সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লক সভাপতি শেখ শাহাজাহানের পাল্টা দাবি, গোটা ঘটনা ঘটেছে মুকুল রায় ও সায়ন্তন বসুর উস্কানিতে। তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজ সকালে জি ২৪ ঘণ্টার  মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহাজাহানের স্পষ্ট কথা, "সায়ন্তন বসু ও মুকুল রায়ের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।" সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লক সভাপতির দাবি, যে এলাকায় হামলার কথা বলা হচ্ছে, তিনি সেই এলাকা ভালোভাবে চেনেন-ই না। বলেন, "বুথ লেভেলে ওই এলাকা আমি চিনি না।" শেখ শাহাজাহানের কথায়, "গতকাল বুথ স্তরে মিটিং ছিল। পুলিসের উপস্থিতিতেই মিটিং চলছিল। মিটিংয়ের পর মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেইসময় বিজেপি দুষ্কৃতীরা ওই এলাকার তৃণমূল উপপ্রধান সুশীল খেদ্রি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কাদের মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কায়ুম মোল্লার গায়ে লাগে। তারপর ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে কায়ুম মোল্লাকে।"


তাঁর দাবি, পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। বিজেপির উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এই ঘটনা। সায়ন্তন বসুদের 'হয় মারো, নয় মরো' মন্তব্যের ফল এই ঘটনা। এখন গোটা ঘটনায় এখন রং চড়াচ্ছে বিজেপি। একইসঙ্গে গোটা এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন শেখ শাহাজাহান। ক্যামেরার সামনে শাহজাহান বলেন, "এলাকার লোক সবাইকে শান্ত হতে বলব।" শুধু কায়ুম মোল্লা নয়, আরও অনেক তৃণমূল কর্মী এখনও নিখোঁজ বলে দাবি তাঁর। প্রায় ৬ জন তৃণমূল কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি। রতন বর, কাজল মণ্ডল, সন্ন্যাসী সামন্ত, তনুময় আড়ি, আলম মোল্লা, জুলমত তরফদার নামে ৬ কর্মী নিখোঁজ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন, রাজনৈতিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ন্যাজাট, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধি দল


প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাগ খোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাটগাজি এলাকা। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১ তৃণমূল কর্মী ও ২ বিজেপি কর্মী সহ মোট ৩ জনের দেহ। অন্যদিকে পুলিস সূত্রে খবর, দেবদাস মণ্ডল নামে আরও এক বিজেপি কর্মী এখনও নিখোঁজ। পরিবারের আশঙ্কা, খুনের পর দেহ লোপাট করে দিয়েছে তৃণমূল। হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।  বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ দাবি করেছেন, "দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেখ শাহাজাহান বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢোকে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ করে। এসপি ফোনে জানান, ওসি স্পটে চলে গিয়েছে। কিন্তু পুলিস, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেই পরিস্থিতি। শেখ শাহাজাহান গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।"