বিধান সরকার: নাবালিকা এক ছাত্রীর যৌন নির্যাতন মামলায় কড়া রায় দিল আদালত। পকসো মামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল শ্রীরামপুর আদালত। বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভয়ংকর পরিস্থিত; কেউ নিরাপদ নয়, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বলছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা


শ্রীরামপুর কলেজের থিওলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রতাপ দিগল। তিনি ওড়িশার বেহরামপুরের বাসিন্দা। কলেজের স্টাফ কোয়ার্টার ম্যাক হাউসে থাকতেন। সেখানেই নাবালিকা এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবলিকার পরিবার। অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিস।


বিচারাধীন বন্দি থাকা অবস্থায় মামলার চার্জশিট গঠন হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুনানীর পর গতকাল শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজ কুমার রাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ তার সাজা ঘোষণা হয়।


ওই মামলার সরকারী আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরী করেছিলেন। ম্যাক হাউসে দুঃস্থদের রেখে মেয়েদের পড়াতেন। নির্যাতিতা ২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ম্যাক হাউসে যান। কয়েকদিন পর থেকেই তার উপর যৌন নির্যাতন শুরু হয়।


আদালত তার রায়ে অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরো সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
নির্যাতিতাকে সাড় ৩ লক্ষ টাকা দিতে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে  নির্দেশ দেয় আদালত। সরকারি আইনজীবী বলেন একজন শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে যা করেছে তা যেন আর কেউ না করতে পারে।


নির্যাতিতা এই রায়ে খুশি। তিনি বলেন, এই দিনটার জন্য আড়াই বছর অপেক্ষা করেছি। অধ্যাপক আমার যে ক্ষতি করেছে আর যেন কারো না করতে পারে, তার জন্যই আমার লড়াই ছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী অরুণ আগরওয়াল বলেন, এটি একটা মিথ্যা সাজানো মামলা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করব।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)