নিজস্ব প্রতিবেদন: মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে ৭৬ জন আহত হলেন। গুরুতর আহত ৭ ব্যক্তি। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমাবেশে আগত প্রত্যেকটা মানুষ কাকভেজা। নাগাড়ে বৃষ্টি, কন্ঠে ‘মোদীজি জিন্দাবাদ’ রব, হাতে মোবাইল আর ভিড়ে ঠাসাঠাসি ময়দানে কোনও রকমে এক পা মাটিতে রাখার আপ্রাণ লড়াই! বেলা পৌনে ১২ টার পর থেকে মেদিনীপুরের কলেজ মোড় ময়দানে তিল ধারণের জায়গা নেই। 


 



বেলা ১২টা বেজে ৫০ মিনিট। মঞ্চে পা রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিমেষে যেন বদলে গেল গোটা সভার আবহ। মোদীকে এক ঝলক দেখার আপ্রাণ প্রয়াস। মঞ্চে প্যান্ডেল করার জন্য বাঁধা বাঁশের ওপর উঠে পড়লেন বহু মানুষ। মঞ্চে তখন বক্তৃতা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখার জন্যই তুমুল হুড়োহুড়ি। অত্যুত্সাহী অনুগামীদের এই প্রয়াস নজর এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রীরও। ভাষণ থামিয়েই প্যান্ডেল থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার তা ঘটে গিয়েছে। চেয়ার ভেঙে, প্যান্ডেলের সামিয়ানা ছিঁড়ে তখন কলেজ মোড় ময়দানে চরম বিশৃঙ্খলা। আহত হলেন ২২ জন। 


আহতদের কারও হাত কেটেছে, কারও বা মাথায় চোট। আহতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন। সভা শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বুলেন্সে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। খবর পেয়েই সভা থেকে কনভয় নিয়ে সোজা হাসপাতালে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহতদের মাথায় হাতও বুলিয়ে দিতে দেখা যায় নমোকে।


 



মোদী যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা বোধ হয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রশাসনিক কর্তারা। এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।