মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রথযাত্রার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে এসএফআই। সভা-সমাবেশের জন্য দরকার অর্থের। ২০১১ সালে ক্ষমতা যাওয়ার পর সংগঠনের আয় বাড়ন্ত। এমতাবস্থায় অর্থসংগ্রহের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বলা ভাল, মাঠে নেমে ঘাম ঝরিয়ে সংগঠনের জন্য টাকা তুলছেন এসএফআই সদস্যরা। 


গ্রামবাংলায় এখন চলছে আমন ধান কাটা ও বাঁধার কাজ। এই কাজে দরকার হয় মরসুমী শ্রমিকদের। দলীয় সংগঠনে অর্থপ্রদানের জন্য মাঠে নামলেন এসএফআই কর্মীরা। প্রতি বিঘা জমিতে কাজ করছেন ৪জন। এজন্য তাঁরা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন খড়গ্রামের কৃষকরাও। ২০১১ সালেও এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল এসএফআই। এর ফলে অর্থসংগ্রহের সঙ্গে মাঠে নেমে জনসংযোগও ঝালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে।   


এসএফআই জেলার মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি জোসেফ জানিয়েছেন, পরিশ্রম করেই অর্থসংগ্রহণ করবেন তাঁরা। নারদা, সারদা, রথের নামে বিলাসবহুল বাসে চড়ার অভ্যাস নেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের। সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়েই সাম্প্রদায়িকতা রুখবেন বলে হুঁশিয়ারি দিযেছেন জোসেফ। 



রাজ্যে প্রথমবার রথযাত্রা করতে চলেছে বিজেপি। তার পাল্টা সভা করার কথা ঘোষণা করেছে এসএফআই। যেখান দিয়ে বিজেপির রথ যাবে, সেখানেই সভা করবে তারা। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে বলেছিলেন, ''প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বিজেপি ও তৃণমূল। রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে পারছে না তারা। সে জন্যই ভাগাভাগির রাজনীতি করছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি''।      
                 
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে এরাজ্যে আসছে তিনটি রথ। সেগুলি আদতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক বাস। মাথায় চড়ার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার ও ৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে রথযাত্রার সূচনা হবে রথযাত্রার। ৫ ডিসেম্বর তারাপীঠে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ ৭ ডিসেম্বর। তার আগে বাংলায় আসতে পারবেন না অমিত শাহ। ১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠে যাবেন সর্বভারতীয় সভাপতি। 


বিজেপির রথকে রাবণযাত্রা বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে রথের পাল্টা পবিত্রযাত্রার ডাকও দেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির রথযাত্রায় যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, রথ যে রাস্তা কলুষিত করবে, সেই রাস্তাতেই হবে তৃণমূলের শান্তিযাত্রা অথবা পবিত্রযাত্রা। বিজেপির রথ যে রাস্তা ধরে যাবে, সেখানেই পরেরদিন পবিত্রযাত্রা করবে তৃণমূল।       


আরও পড়ুন- বিজেপির রথের চাকা বসাতে মাঠে নেমে ধান ভাঙছে এসএফআই