নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বভারতীতে বাম ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কর্তৃপক্ষ। যদিও কমিটির সদস্যদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এসএফআই। কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোদী ঘনিষ্ট বলে দাবি বাম ছাত্র সংগঠনের। তাদের প্রশ্ন, এতে নিরপেক্ষ তদন্ত কীভাবে অসম্ভব?  এরইমাঝে, দিনভর বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে। দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও তৃতীয় অভিযুক্তকে কেন ধরা হচ্ছে না? প্রশ্ন পড়ুয়াদের। কবিগুরুর নামাঙ্কিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গরিমা বাঁচাতে একত্রিত হওয়ার আহ্বান করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতের অন্ধকারে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে বিশ্বভারতীতে। সরব হয়েছেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা। কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে সরব পড়ুয়াদের একাংশ। চলছে আন্দোলন, বিক্ষোভ। ঘটনার একদিন পর তদন্ত কমিটি গড়ল কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী কাণ্ডে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন অধ্যাপক দুলালচন্দ্র ঘোষ, অধ্যাপক মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায়।


ক্যাম্পাসে হামলা এবং ৮ জানুয়ারি বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ঘেরাওয়ের তদন্তে কমিটি। ১ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় হাত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই। শুরু থেকেই অভিযোগ পড়ুয়াদের। কতটা নিরপেক্ষ হবে তদন্ত? প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। 


কেন? দুলালচন্দ্র ঘোষ আচার্য নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত প্রতিনিধি। উপাচার্যের দৌড়েও রয়েছেন। সঙ্ঘপরিবারের ঘনিষ্ঠ। আর একজন মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায় বিশাখা কমিটিতে অভিযুক্তকে বাঁচিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনিও সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ। CAA-র সমর্থনে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশও করেছেন। তাঁরা কীভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারবেন? প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই।     


বিকেলে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্র-শিক্ষকদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কবে বন্ধ হবে এই রাজনীতি, কবে থামবে ছাত্র নিগ্রহ? প্রশ্ন ছাত্র থেকে অধ্যাপক সবারই। 


আরও পড়ুন- 'চে'-কে দিয়ে নয়, কলকাতা বন্দরে শ্যামার পাল্টা SFI-র পোস্টার বয় 'মাস্টার দা'