Shoot at Chinsurah: দিনেদুপুরে সরকারি হাসপাতালে শুটআউট! চেকআপে আসা দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি
Shoot at Chinsurah: জানা গিয়েছে, একটি টাটা সুমোতে করে ওই দুই দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বেরনোর সময় গেটের বাইরে রোগীদের বসার জায়গায় দুষ্কৃতীরা বসেছিল। টোটন যখন গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছিল, তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বসে থাকা দুষ্কৃতীদের একজন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়।
বিশ্বজিৎ সিহং রায়: দিনেদুপুরে চুঁচুড়ার হাসপাতালে শুটআউট। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে তিন দুষ্কৃতীর তাণ্ডব। টোটন নামে এক দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিস। তখনই হামলা চালায় অন্য তিন দুষ্কৃতী। টোটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। টোটনের পেটে গুগুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই ভিড়ের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পাঠায় হামলাকারীরা। ঘটনার পর গোটা এলাকা পুলিসি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। এর ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গুলিবিদ্ধ দুষ্কৃতী টোটনের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিসের গাড়িতে তার এক সঙ্গীও ছিল। সেই টোটন বিশ্বাসকে লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার পেটে গুলি লাগে। তখনই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই দ্রুত হাসপাতাল চট্বর ঘিরে ফেলে পুলিসের বিরাট বাহিনী। ভিতর থেকে নাকি বাইরে থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে তা নিয়েও ধন্ধ রয়েছে। গোটা ঘটনায় চুঁচুড়া শহরে ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, একটি টাটা সুমোতে করে ওই দুই দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বেরনোর সময় গেটের বাইরে রোগীদের বসার জায়গায় দুষ্কৃতীরা বসেছিল। টোটন যখন গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছিল, তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বসে থাকা দুষ্কৃতীদের একজন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়। বিশাল পুলিস হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। দিনে দুপুরে হাসপাতালের মতো জায়গায় এই ঘটনা ঘটনায় জনমানসে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস সুপার-সহ উচ্চ পদস্থ কর্তারা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ওই এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত টোটন বিশ্বাস। অনেকেই মনে করছে, শত্রুতার জেরেই তার উপর হামলা চালাতে পারে শত্রু শিবিরের কেউ। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই হামলার পিছনে কে বা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। পুলিসি প্রহরায় থাকা দুষ্কৃীতর উপর হামলা হলে, জন সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।