নিজস্ব প্রতিবেদন: রীতিমত ফিল্মি কায়দায় বজবজে এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ স্থানীয় মানুষ দেখেন, গাড়ির জানলা দিয়ে এক যুবকের গলা চেপে ধরেছে একজন। রাস্তায় পড়ে যায় যুবক। গাড়ি থেকে নামে দু-তিনজন। কোদালের বাট দিয়ে তাকে মারধর শুরু করে তারা। এরপর যুবককে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর গাড়ি চড়েই চম্পট দেয়। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান বজবজের বঙ্কিম ভবনের সামনে থাকা মানুষজন। সম্বিত ফিরতেই গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে তারা। আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যুবকের নাম শেখ মইদুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে এলাকায় শেখ মইদুলকে আক্রমণ করা হয়েছে অর্থাত্ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাত দূরে বজবজ পুলিস ফাঁড়ি। সেখানেই এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী সিসিটিভি-র ছবি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস। কিন্তু, চিংড়ি পোতা গ্রামের বাসিন্দা মইদুলকে কেন খুনের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন- রুটি করার সময় হঠাত্ই হাতে প্রবল 'যন্ত্রণা', তারপরের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক


অন্যদিকে, তিলজলার বন্ধ কারখানা থেকে আয়াজ খান নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার হাতে, গলায় ও মুখে পাওয়া গিয়েছে ক্ষত চিহ্ন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।


মৃতের ভাইয়ের দাবি, তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে। তিনি জানান, যে কারখানা থেকে আয়াজ খানের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানেই তিনি আগে কাজ করতেন। গতকাল তাঁর কিছু প্রাক্তন সহকর্মী আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি ওই কারখানায় যান। আর এরপরই এ দিন সকালে দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারে স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে বলেও জানায় তাঁর ভাই। আরও পড়ুন- কড়াইতে 'কষা মাংস', স্বামীর অপেক্ষায় এখনও বসে ২ মাসের বিবাহিতা স্ত্রী


আয়াজ খানের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে পুলিস। মৃত্যু না হত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।