কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দলের নেতাদের এখন হিন্দি শেখার ওপরে জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! কারণ দিল্লির রাজনীতি করতে হিন্দি ছাড়া চলবে না। এমনই আভাস মিলেছে ডেরেক ও’ব্রায়ানের হিন্দি শেখার মরিয়া চেষ্টায়।


আরও পড়ুন-ক্ষমতায় এলে তিন তালাক আইন বাতিল করে দেব: রাহুল গান্ধী


লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তৃণমূলের  মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে বাংলা বা ইংরেজিতে আর বক্তব্য রাখছেন না। বরং তার পরিবর্তে ব্যবহার করছেন হিন্দি। তাই হিন্দি রপ্ত করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, হিন্দি শেখার জন্য টিউশনও নিতে শুরু করেছেন। দিল্লিতে রোজ এক ঘণ্টা তিনি হিন্দি শিখছেন এক শিক্ষকের কাছে।


এই বয়সেও নতুন এক ভাষা শেখা! ডেরেকের মন্তব্য, শেখার কোনও বয়স হয় না। হিন্দিতে একেবারে নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। তাই শেখার জোর চেষ্টা করছি।


উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে দেশের ১৪ রাজ্যে প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পেছনে কারণ একটাই, টার্গেট দিল্লি। তাই রাজধানীর রাজনীতিতে সড়গড় হওয়ার জন্য হিন্দি পোক্ত হওয়া প্রয়োজন। তারই জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ডেরেক।


শুধুমাত্র টিউশন নিয়েই নিজের হিন্দি নিখুঁত করার চেষ্টা নয়, সমাজাবাদী পার্টির নেতারাও তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করছেন। রোজ তাঁর হিন্দিকে ঘষামাজা করে দিচ্ছেন সপা নেতা রামগোপাল যাদব। দলীয় সূত্র খবর, শুধুমাত্র ডেরেকই নন, দলের অন্য অনেক নেতাই হিন্দি শেখার জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন।


আরও পড়ুন-"বাংলা মানেই বাণিজ্য আর বিনিয়োগ", শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


তৃণমূলের আশা কেন্দ্রে এবার সরকার গড়বে বিরোধী জোট। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনে একটা বড় ভূমিকা নেবে তৃণমূল। তখন কাজ চালানোর জন্য হিন্দি খুবই প্রয়োজন। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে বা সংবাদমাধ্যমের সামনে হিন্দিতে বক্তব্য রাখছেন। টুইট করছেন হিন্দিতেও। ফলে দলের অন্যান্য নেতাদেরও হিন্দি শিখতে হবে এমনই একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন দলনেত্রী। অর্থাত্ তৃণমূলের এখন স্লোগান হতেই পারে, ‘শেখো হিন্দি, চলো দিল্লি।‘