জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: সিকিমে তুষারধসে প্রাণ হারিয়েছেন বাঙালি পর্যটক প্রীতম মাইতিও। আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে দেউলিয়া গ্রামে বাড়ি। তবে কর্মসূত্রে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি কলকাতার মানিকতলার ফ্ল্যটে থাকতেন। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী তিনি। সহকর্মীদের সঙ্গেই সিকিম ট্যুরে গিয়েছিলেন গত রবিবার। সিকিমের তুষার ঝড়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, চিকিৎসক বোন গোটা বিষয়টি জানলেও গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে তাঁরা বিষয়টি জানাননি। বাবা- মা তা সহ্য করতে পারবেন না। বোন-ই লুকিয়ে দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার পুজো উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রীতম। তারপর সেখান থেকেই সিকিমে যান। তাঁর স্ত্রী ও সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মানিকতলার ফ্ল্যাটেই রয়েছেন। 


সহকর্মীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন প্রীতম। মঙ্গলবার ছাঙ্গু লেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় একাধিক পর্যটকের। ঘটনার পর যখন উদ্ধার কাজ চলছিল, তখন ফের বিপর্যয় নেমে আসে। তাতে আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়ে যান। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এনেছে সেনাবাহিনী। যার মধ্যে ৩ জন নেপালের। ২ জন পশ্চিমবঙ্গের ও ২ জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।


সিকিমে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রীতম মাইতির কারখানা কলকাতার বাগমারি লাগোয়া সতীন সেন সরণীতে। পেশায় ডব্লিউবিএসিডিসিএলের কন্ট্রাক্টর ছিলেন প্রীতম। রবিবার সিকিম গিয়েছিলেন অফিসের কাজে। সেখান থেকেই গাড়ি করে ঘুরতে যান। প্রীতমের মৃত্যুর খবর গতকালই এসে পৌঁছয় কারখানা চত্বরে। কর্মীদের মধ্যেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 


আরও পড়ুন, Sikkim Avalanche: অফিস ট্যুরে গিয়ে তুষারধসের কবলে, আর বাড়ি ফেরা হল না শিলিগুড়ির সৌরভের



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)