নিজস্ব প্রতিবেদন: মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাত্রের জন্য বদনাম হচ্ছে শহরের ঐতিহ্যবাহী স্কুলের নাম, স্কুল ইউনিফর্মেই চলছে মদের আসর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৩ বছরও ঘর করতে পারল না! খড়দহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ


শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল, শহরের সব থেকে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্কুল। শিলিগুড়ি শহরের বহু মানুষের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই স্কুলকে কেন্দ্র করে। আজও যেকোনও আড্ডার আসরে পুরোনো স্মৃতির কাঁধে চেপে উঠে আসে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের নাম। কখনও স্যারেদের কাছে কান মলার গল্প আবার কখনও, স্যারের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ার গল্প। শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পর্কটা একটা সময় খোলামেলা হলেও তাতে ছিল সম্মান, ভুল কাজ করার পরের সেই খানিকটা ভয়, স্কুল ছাড়ার পরও হঠাৎ কোনও শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হলে আপসেই নত হয় মাথা। কিন্তু সেই বোধ , সেই সম্মান কী এখনকার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে? স্কুলের মান সম্মান সবটা যে সেই স্কুলের পড়ুয়াদের ওপরই নির্ভর করে তা হয়ত সত্যিই ভুলতে বসেছে বর্তমানের স্কুল পড়ুয়ারা । কাজেই শিরোনামে উঠে আসল শিলিগুড়ির ঐতিহ্যবাহী বয়েজ হাই স্কুলের নাম ।


আরও পড়ুন- ২৪ সপ্তাহের যোধপুরপার্কের সেই অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতের পক্ষে রায় হাইকোর্টের


শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারিতে দেখতে পাওয়া গেল তিন স্কুল পড়ুয়াকে। পরনে স্কুলের পোশাক, গলায় ঝোলানো আই ডি কার্ড, হাতে বই খাতার বদলে মদের বোতল। তা হাতেনাতে ধরলাম আমরাই, নিজেদের বাঁচাবার তাগিদে নেওয়া হল অন্য স্কুলের নাম, তারপর শুরু হল নানা রকম অজুহাত। প্রথমে অস্বীকার, পরে স্বীকার করে নিল সবটা ।


ঘটনা শুধু একটা নয়, দশম শ্রেণির একটি ক্লাসে ঘটেছে আরেক ঘটনা। কয়েকজন ছাত্র নগ্ন হয়ে নিজেদের ভিডিয়ো বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। স্কুল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ৩৫টি মোবাইল ফোন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকেও পাঠায়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন স্কুল। স্কুলে এসে পেছনের দেওয়াল টপকে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেকেই,  আবার কেউ বা স্কুলের পোশাক পরে স্কুলের নাম করে স্কুলে না এসে সোজা গিয়ে হাজির হচ্ছে মদের আসরে ।