নিজস্ব প্রতিবেদন : এরকমটা হওয়ার ছিল না। প্রতিবারের মত এবারও ভাইফোঁটা নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক। অভিশপ্ত একটা দিন দাদাকে কেড়ে নিয়েছে চিরতরে। পরিবার জুড়ে শোকের ছায়া। বাধ মানছে না বোনের চোখের জল। দাদাকে হারিয়ে আজ অনাথ শিশুদের কপালে ভাইফোঁটা দিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে ১০ অক্টোবর মৃত্যু হয় নদিয়ার রানাঘাটের পায়রাডাঙার ডাক্তারি ছাত্র প্রীতম রায়ের। দীর্ঘ ১৫ দিন পর প্রীতম রায়ের নিথর দেহ উদ্ধার করে উত্তরাখণ্ড পুলিস। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া ছিলেন প্রীতম। ডাক্তারি পড়ুয়া বোন প্রিয়াঙ্কাও। দুজনেই বাইরে থাকতেন। উত্সব, অনুষ্ঠানে একসাথে ভাইবোন বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু সেসবই আজ অতীত। ছেলের নিথর দেহ উত্তরাখণ্ড থেকে ঘরে ফেরার পর বাড়ির পাশেই সমাধিস্থ করা হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে মন্দির। ঘরের ছেলেকে কাছছাড়া করতে চায়নি কেউ-ই।


কিন্তু আজ ভাইফোঁটার দিন বোনের মন বড়ই ব্য়াকুল। প্রতিবার এই দিনটায় কত ব্যস্তটা থাকত। দাদার জন্য নিজের হাতে খাবার তৈরি করতেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু আজ প্রীতম নেই। তাই সকাল থেকে কর্মব্যস্ততাও নেই। দাদার জন্য তৈরি করা খাবার নিয়ে অপেক্ষাও নেই। দাদাকে হারানোর বেদনা বুকে চেপে আজ অনাথ শিশুদেরই ভাইফোঁটা দিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা রায়।


আরও পড়ুন, Asansol: অন্যরকম ভাইফোঁটা, আসানসোল আদিবাসী ভাইদের ফোঁটা দিলেন অগ্নিমিত্রা পাল