নিজস্ব প্রতিবেদন : বিরোধীরা একজোট। গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়। জেতা পঞ্চায়েত দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। আর জোট বেঁধে ছিনিয়ে নিতে আরও মরিয়া বিরোধীরা। দখলের রাজনীতির এই লড়াইয়েই মঙ্গলবার রাতে রক্তাক্ত হল আমডাঙা। ঝরল প্রাণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত পঞ্চায়েত ভোটে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ছিল তৃণমূলের দখলে। এবারও ৩ পঞ্চায়েতেই বাকিদের তুলনায় বেশি আসন পায় তারা। কিন্তু, বিরোধীরা জোট বাঁধায় ঘুরে যায় হাওয়া। তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯টি আসনের মধ্যে এবার ৯টি আসন পায় তৃণমূল। ৭টি আসন পায় সিপিএম। ১টি করে আসন পান কংগ্রেস, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বাকিরা সমর্থন করায় বোর্ড গঠনের দৌড়ে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দেয় সিপিএম। বোদাই পঞ্চায়েতেও একই ছবি। ১৫টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন পায় তৃণমূল। সিপিএম ৪টি এবং বিজেপি ও নির্দল পায় ২টি করে আসন। এখানেও তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা সিপিএমকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।


আরও পড়ুন, মানহানি অভিষেকের, অমিতের বিরুদ্ধে সমন জারি নগর দায়রা আদালতের


অন্যদিকে, মরিচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০টি আসন। তৃণমূল ও বিজেপি ৯টি করে আসন দখল করে। ২টি আসন পায় সিপিএম। সূত্রে খবর, এই পঞ্চায়েতে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠনে এগিয়ে আছে বিজেপি। মরিচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের বিনিময়েই তাড়াবেড়িয়া ও বোদাইয়ে সিপিএমকে সমর্থন দিচ্ছে বিজেপি। বুধবার ছিল ৩ পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠনের দিন। বিরোধীদের বোঝাপড়ায় ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এনিয়েই আমডাঙায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত।


আমডাঙায় সংঘর্ষের ঘটনায় সিপিএম-বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তোপ দেগেছে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট আর মুরলীধর লেনে বসেই হামলার ছক কষা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ সাফ খারিজ করে দিয়েছেন বামেরা। জেতা আসনে বোর্ড গঠন করতে কেন হামলা চালাবে সিপিএম? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ খারিজ করে মন্তব্য সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের।


আরও পড়ুন, "আমডাঙার মাটিতেই মোক্ষম জবাব দেব", হুঙ্কার জ্যোতিপ্রিয়র


অন্যদিকে, আমডাঙার প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলে সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সারা দেশে জরুরি অবস্থা চলছে। কিন্তু এরাজ্যের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এরাজ্যে প্রকাশ্যে গণতন্ত্রকে খুন করা হচ্ছে। আলিমুদ্দিনের সিপিএম-এর অফিসে বসে আমডাঙা হামলার ব্লুপ্রিন্ট আঁকা হয়েছে বলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রমাণ করার দাবি জানান তিনি।