Jalpaiguri: বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন চা-শ্রমিকেরা! চা-পাতা বিকোচ্ছে ১৫ টাকা প্রতি কেজি...
Jalpaiguri Tea Industry: এবছর কাঁচা চা-পাতার দাম আচমকাই নেমে গিয়েছে। বর্তমানে পাতা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫-১৮ টাকা প্রতি কেজি দরে। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে অনেক কম। বিগত বছরগুলিতে গড়ে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে চায়ের কাঁচা পাতা। এভাবে চললে কী ভাবে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবেন ক্ষুদ্র চা-শ্রমিকেরা?
প্রদ্যুৎ দাস: সেকেন্ড ফ্লাশ চায়ের দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। উৎপাদনের খরচের তুলনায় পাতার দাম কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। বিভিন্ন জেলার ছোট বাগানের চা-চাষিরা বর্তমানে সেকেন্ড ফ্লাশ চা উৎপাদন করছেন। বরাবরই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় সেকেন্ড ফ্লাশ চা।
আরও পড়ুন: Jagannath Mandi: হাত অকেজো, পা দিয়ে লিখেই মাধ্যমিকে সফল দরিদ্র আদিবাসী জগন্নাথ...
যদিও এবছর কাঁচা চা-পাতার দাম আচমকাই নেমে গিয়েছে। বর্তমানে পাতা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫-১৮ টাকা প্রতি কেজি দরে। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে অনেক কম। বিগত বছরগুলিতে গড়ে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে চায়ের কাঁচা পাতা। এমনিতেই আবহাওয়ার ব্যাপক খামখেয়ালিপনা রয়েছে এবার। কৃত্রিম ভাবে জলসেচের বিপুল খরচ রয়েছে। এছাড়া লুপার, ক্যাটারপিলার, গ্রিন ফ্লাই, থ্রিভস, চা-মশার মতো পোকার দাপটে উৎপাদনের পরিমাণও ক্রমশ কমেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ সামলাতে কীটনাশক ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে উৎপাদন খরচও।
অথচ চা-পাতার সঠিক দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে উৎপাদন খরচ পড়ছে প্রতি কেজি প্রায় কুড়ি টাকা। যদিও দাম নেমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচের নীচেই পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। এজন্য বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। মরশুমের শুরুতেই এত কম দাম পাওয়া গেলে বর্ষার সময় পাতার দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। এই প্রসঙ্গে বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলির বক্তব্য, কাঁচা চা-পাতার খুব বেশি চাহিদা নেই এখন। তাছাড়া ফ্যাক্টরিগুলিতে প্রচুর চা জমা হয়ে রয়েছে। তাই আগামীদিনেও এমন পরিস্থিতি চললে তাদের পক্ষেও বেশিদিন ফ্যাক্টরি চালানো সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: Malbazar: পুকুরপাড়ে ১১ ফুট দীর্ঘ ইন্ডিয়ান রক পাইথন! ওদিকে রাতের অন্ধকারে ঘুরছে প্যাঙ্গোলিন...
চায়ের নিলামেও গত বছরের তুলনায় চায়ের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। পাতার দামের বিষয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে প্রতিটি ক্ষুদ্র চা-বাগান অধ্যুষিত রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল টি বোর্ডের শেষ বোর্ড মিটিংয়ে। তবে আজও তা কার্যকরী হয়নি বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা-চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তিনি জানান, এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের পথে চলে যাবে। এজন্য অবিলম্বে টি বোর্ডের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ডিবিআইটিএর চেয়ারম্যান তথা বড় চা-বাগান ডেঙ্গুয়াজার বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জীবনচন্দ্র পান্ডে চা-দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চা-শিল্প খুবই সংকটের মধ্যে রয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে চা-বাগানে ভালো পাতা তৈরি হচ্ছে না। ফলে সমস্যায় চা শিল্প।