নিজস্ব প্রতিবেদন: 'গরিবের প্রতি এত অন্যায় কেন করলেন দিদি'? ডুমুরজলার মেগা যোগদানের মঞ্চ থেকে বাংলায় মমতাকে প্রশ্ন বাণ স্মৃতি ইরানির। শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

"শুনতে পেয়েছি, দিদি নাকি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন ভবানীপুর ছেড়ে? তাই শুভেন্দুবাবু বলছেন, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, দিদিও জানেন বাংলায় পদ্ম এখন ঘরে ঘরে" বক্তৃতার শুরুতেই  হুঁশিয়ারি স্মৃতি ইরানির। 


তাঁর কথায়, 'যাঁরা নিজের লোকের সঙ্গে নিজের লোকের যুদ্ধ লাগায়। জয় শ্রী রামের মতো স্লোগান শুনলে রেগে যায় সেই দলে কেউ থাকতে চায় না।  ১৩০ থেকে ১৩৮ বিজেপি কর্মীকে আপনি মেরেছেন।  তাঁদের বলিদান বৃথা যাবে না। ভারতীয় জনতা পার্টিকে অনেক সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, যাতে বিকাশের গঙ্গা ঘরে ঘরে পৌঁছয়'। 


আরও পড়ুন: আমি ঝরা পাতা হলে তৃণমূলের আমাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন? : রাজীব বন্দোপাধ্যায়


স্মৃতি ইরানি বলেন, ' করোনাকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছন। আর লকডাউনে লুট করেছে TMC'। তিনি আরও বলেন,' প্রতি পরিবারকে ৫ কিলো চাল ১ কিলো ডাল দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই ডাল আর চাল চুরি করেছে তৃণমূল। মানুষের সুবিধার্থে একটাই রেশন কার্ড চালু করেছে সরকার। আর তৃণমূল কুপন দিয়েছে।  যাঁরা তৃণমূল করেছেন তাঁরাই পেয়েছে সেই কুপন। যাঁরা সেদিন আপনার জন্য ক্ষুধার্থ থেকে গেল, কেন তাঁরা খেতে পেল না'? ডুমুরজলার মঞ্চ থেকে তোপ স্মৃতির। 


'যখন স্পেশাল ট্রেনের কথা বলেছিলেন মোদীজি, তখন দিদি বলেন ওইটা করোনা এক্সপ্রেস। তাই তিনি আসতে দেননি। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢুকতে দেননি। কিন্ত কেন? যাঁরা বাইরে কাজ করতে যান, তাঁরা আপনার বাংলার মানুষ নন? গরিব শ্রমিকের এত ক্ষতি কেন করলেন দিদি'? সরাসরি প্রশ্ন করেন স্মৃতি ইরানি। 


আরও পড়ুন:"কলকাতা-দক্ষিণ ২৪ পরগণা আরও ফাঁকা করব, Private কোম্পানির জন্য লোক থাকবে না": Suvendu


'দিদি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাননি। কিন্তু মোদীজি জন ধন যোজনার মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছেন মহিলাদের ব্যাঙ্কে।  আমফানের সময় ১০০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেই টাকা লুট করেছে। যে সেনাদের আপনি অপমান করেন, তাঁরাই এসে কিন্তু সেদিন সাহায্য করেছিলেন', বলেন স্মৃতি।  


মমতাকে কটাক্ষ করে তাঁর আরও বক্তব্য, 'কৃষকদের তালিকা চেয়েছিলেন অমিত শাহ। আপনি সেই তালিকা দেননি। কাটমানি না এলে কাজ হয় না, দিদি জানেন সেটি। ডাল চুরি , চাল চুরি, ত্রিপল চুরিতে সিদ্ধহস্ত TMC।  একুশে ২০০ পার। পরিবর্তন হবেই, জানে বাংলার মানুষ'।