নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যায় যখন ডুবুডুবু ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা তখন পোয়াবারো কাঠপাচারকারীদের। নদীর স্রোতে ভাসিয়ে ডুয়ার্সজুড়ে দেদার চলছে কাঠপাচার। বর্ষায় দুর্গম হয়ে ওঠা বনাঞ্চলে পাচার রুখতে নাভিশ্বাস উঠছে বনকর্তাদের। তবে হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে ডুয়ার্সের নদীগুলি। দুকূল ছাপিয়ে বইছে লিস, ঘিস, ডায়নার মতো ছোট নদীগুলিও। এই সুযোগে জোরকদমে নেমেছে কাঠপাচারকারীরা। রীতিমতো বেতন দিয়ে কর্মী নিয়োগ করে চলছে পাচার। 


বর্ষায় পাহাড় বেয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে কাঠুরেরা। সেখানে মোটা মোটা গাছের গুঁড়ি কেটে তা ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলে। নীচে থাকা পাচারকারীরা সেই কাঠ তুলে নিচ্ছেন নদীবক্ষ থেকে। তার পর চেরাই করে চালান করে দেওয়া হচ্ছে মোটা দামে। বৃষ্টি বাড়তেই ডুয়ার্সের জঙ্গলজুড়ে তাই এখন শুধু কাঠপাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। একদিকে বৃষ্টির থামার প্রার্থনায় যখন মগ্ন ডুয়ার্সের বানভাসি মানুষ। তখন আরও বৃষ্টির আশায় কাঠপাচারকারীরা। 


মাল মহকুমার বাগরাকোট, ডামডিম ও ওদলাবাড়ি এলাকায় মূলত কালিম্পং বন উন্নয়ন নিগমের এলাকা থেকেই কখনও শুকনো নদীপথে সাইকেলে চাপিয়ে,আবার বর্ষায় নদীর স্রোতে ভাসিয়ে গাছের গুড়ি পাচার করা হয়ে থাকে। বন দপ্তরের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগে এভাবেই জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছে বলে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির অভিযোগ। 


পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের পর সন্তানদের গায়েব করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে


মাঝেমধ্যে অবশ্য বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অভিযান চালিয়ে কিছু কাঠ উদ্ধার করে। তবে তা পাচার হয়ে যাওয়া কাঠের সামান্য অংশ মাত্র। বিনা বাধায় ঘিস ও চেল নদীর স্রোতে ভাসিয়ে কাঠ পাচার করার খবর স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্তর কাছেও পৌঁছেছে। খবর পৌঁছেছে বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ'র কাছেও। 


অঞ্জন বাবু এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন," গোপন সূত্রে কাঠপাচারের খবর আমরা পেয়েছি, ইতিমধ্যে কালিম্পঙ বন উন্নয়ন নিগমের ডিভিশনাল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে।অবিলম্বে কাঠপাচার রুখতে যৌথ অভিযান চালানো হবে।" 


ওদিকে  পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি, শুধু অভিযান চালিয়ে কাঠ উদ্ধার করলেই কাঠ পাচার বন্ধ হবে না। পাচারকারীদের গ্রেফতার করে বন আইনানুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই কমতে পারে কাঠপাচার।