নিজস্ব প্রতিবেদন:  এক টানা বৃষ্টিতে বাসায় সমস্যা। অতঃপর বাসস্থান বদল। গৃহিনীকে নিয়ে তাই জলাজঙ্গল থেকে ‘নাগরাজ’এর সটান উঠে পড়া পাকা বাড়িতে। তাও আবার যে সে নয়! একেবারে অঙ্গণওয়াড়ি কেন্দ্রের হেঁসেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভগ্নপ্রায় ভবন। দেওয়ালের ফাটল বেয়ে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। মাকড়সার মতো ফাটল ধরেছে ছাদেও। সামনে গজিয়ে ওঠা লম্বা লম্বা ঘাস হালকা হাওয়ায় মাথা দুলিয়ে নড়ছে। কোনও পোড়া বাড়ির বর্ণনা নয়, এই ভবনই আসলে আউশগ্রাম ১ নম্বর  ব্লকের  কয়রাপুর গ্রামের ২৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই অঙ্গণওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর এখন সর্পরাজের দখলে। রান্নাঘরের উনুনে বসানো হাঁড়ির পিছনেই সংসার পেতেছে নাগ-নাগিনী।


আরও পড়ুন: যাঁরা শিক্ষকতা করতে চান, তাঁদের জন্য সুখবর! বড়সড় নিয়োগের পথে রাজ্য সরকার


পড়তে এসে গুরু, ছাগলের সঙ্গে এখন  সাপের সঙ্গে সময় কাটাতে হচ্ছে খুদেদের। প্রাণ হাতে নিয়েই পড়তে আসে তারা। আর খুদেদের মুখের দিকে তাকিয়েই সাপের আস্তানাতে যান শিক্ষিকারাও। যে কোনও সময়েই রান্নাঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে সাপ ঢুকে পড়তে পারে শ্রেণিকক্ষে। সাপের ভয়ে রান্নাঘরে মিড ডে মিল রান্না তো উঠে গেছে কবেই, এখন সাপের ভয়ে  ক্লাসও বন্ধ হওয়ার মুখে।


বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রশাসনেক কাছে। তবে আশার বাণী শোনাতে পারেননি ব্লকের শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প আধিকারিকও। কত দিন এই সমস্যার সমাধান হয়, আদৌ তা হবে কিনা, সেটাই দেখার।