নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার সন্ধ্যায় কোচবিহার থেকে যাত্রী নিয়ে মুর্শিদাবাদের করিমপুর যাচ্ছিল একটি বেসরকারি বাস। বাসে জনা পঞ্চাশেক যাত্রী ছিল। পথে ধূপগুড়ি থেকে কিছু যাত্রী বাসে ওঠার পর  বাস রওনা দেয় করিমপুরের উদ্দেশে। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল । কিন্তু ছন্দপতন হল ময়নাগুড়ি আসার পর । 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধূপগুড়ি ব্লকের জলঢাকা সেতু পেরিয়ে ময়নাগুড়ি এলাকায় বাস আসার পরই কিছু যাত্রী খোলস ছেড়ে নিজেদের আসল মূর্তি ধরে । তাঁরা আসলে ছিল  যাত্রী সেজে থাকা ডাকাতের দল। চলন্ত বাসেই আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র বের করে বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের হুমকি দিতে থাকে । শুরু হয় নগদ টাকা, সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট।  


লুঠতারাজের পর  একজন ডাকাত  একটি আগ্নেয়াস্ত্র বাস চালকের মাথায় ঠেকিয়ে তাঁকে মারধর করে চালকের সিট থেকে সরিয়ে দেয়। নিজেই ড্রাইভারের সিটে বসে বাস চালাতে থাকে। এইভাবে ৭-৮ কিলোমিটার রাস্তা আসার পর ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস সংলগ্ন ৩১ নং জাতীয় সড়কের ওপর অন্ধকারে  বাস দাঁড় করিয়ে বাস থেকে নেমে অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় ডাকাত দল। 


আরও পড়ুন- কোয়ার্টারের ভয়াবহ অবস্থা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন করোনা যোদ্ধারা


যাত্রী সেজে বাসে উঠে বাসযাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে  বিনা বাধায় পালিয়ে গেল  সশস্ত্র ডাকাতের দল। নজিরবিহীন এই  ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ময়নাগুড়িতে।  আতঙ্কিত বাস যাত্রীরা জানান, "  ধূপগুড়ি  থেকেই ডাকাত দল যাত্রী সেজে বাসে ওঠে। জিনিসপত্র না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।  আমরা প্রত্যেকেই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি । এখন কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।"  


খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে আসে জলপাইগুড়ি পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।  ধূপগুড়ি থেকে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার  সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। বাস যাত্রী দের থেকে ঘটনার বিবরন শুনে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।