নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার উপকণ্ঠেই এবার মোমো আতঙ্ক। অজানা নম্বর থেকে মেসেজ এল মহিলার কাছে। মেসেজে লেখা, "Hi, its momo"। মেসেজ পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা রাজশ্রী দাস। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের সাইবাহর সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রাতে +1(315)310-8373 নম্বর রাজশ্রী দাসের কাছে একটি মেসেজটি আসে। মেসেজে লেখা, "হাই, ইটস মোমো।" মেসেজ দেখে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। তবে মোমো সম্পর্কে কিছুটা ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। ফলে মেসেজ দেখেই সতর্ক হয়ে যান। মেসেজের পাল্টা কোনও উত্তর দেননি।


আরও পড়ুন, পকেটে ফাটল নামী কম্পানির মোবাইল, ঝলসে গেল হাত-পা


এরপর শুক্রবার কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজশ্রী দাস। সেখান থেকেই তাকে বলা হয় কলকাতা পুলিসের সাইবার সেলের সঙ্গে  যোগাযোগ করতে। পুলিসের পরামর্শ অনুযায়ী সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজশ্রী দাস। লালবাজারের তরফে নম্বরটি ব্লক করে দিতে বলা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এটি সত্যিই মারণ মোমো গেমের হাতছানি নাকি আতঙ্ক তৈরি করতেই কোনও চক্র এই চক্রান্ত করছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, ২১ অগাস্ট, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ছাত্রী কবিতা রায়ের ফোনে প্রথম মেসেজ পাঠায় মোমো। বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে হোয়াটসঅ্যাপে কবিতা স্ট্যাটাস দিয়েছিল, "আমি মরে যাব।" এর কয়েক মিনিট পরেই কবিতার ফোনে মেসেজ আসে একটি অজানা নম্বর থেকে। যাতে লেখা ছিল, "আই অ্যাম মোমো।" +1(251)999-5451 নম্বরটি থেকে কবিতাকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল।


আরও পড়ুন, ঠান্ডা পানীয় দেন গৃহকত্রী! তারপর... বকেয়া টাকা চাইতে গিয়ে বীভত্স অভিজ্ঞতা


এরপর শুক্রবার ফের মোমোর হানার খবর মেলে জলপাইগুড়িতে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের ছাত্রী পর্ণা চক্রবর্তী তাঁর এক বান্ধবীর কাছে ২১ তারিখের মোমো সংক্রান্ত খবরের লিঙ্ক চেয়েছিল। জানা গেছে, বন্ধুর দেওয়া খবরের লিঙ্কটি খুলে পড়ার পরই তাঁর ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। +1( 209)265-1539 নম্বর থেকে পর্ণাকে মারণ গেম মোমো খেলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।


আরও পড়ুন, পেট থেকে বেরল ২০৫টি কুল-খেজুরের বীজ, নাটবল্টু


রাতেই নাম্বারটি ব্লক করে দেন পর্ণা। এরপর শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পর্ণা। একই কলেজের ২ ছাত্রীর কাছে এভাবে মোমো মেসেজ আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে জলপাইগুড়ির মোমো আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এবার শহরের উপকণ্ঠে থাবা বসাল মোমো।